পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৩৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*Э& о স্বামীজীর বাণী ও রচনা & প্রকাশিত হইল না, এবং তাহার ਬਾਸ਼ਿ হইল ? ফল হইল এই যে, আমাদের যাহা কিছু ছিল, সবই গোপন করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলাম । ব্যক্তিবিশেষের ভাবগোপনেচ্ছায় উহা আরম্ভ হইল এবং শেষে ভাব গোপন করাটা জাতীয় অভ্যাস হইয়া দাড়াইল । এখন আমাদের ভাবপ্রকাশের শক্তির এত অভাব হইয়াছে যে, আমরা মৃত জাতি বলিয়া বিবেচিত হইয়া থাকি । ভাবপ্রকাশ ব্যতীত আমাদের বঁচিবার সম্ভাবনা কোথায় ? পাশ্চাত্য সভ্যতার মেরুদণ্ড— বিস্তার ও অভিব্যক্তি। ভারতে এংলো-স্যাক্সন জাতির কাজগুলির মধ্যে এই যে-কাজের প্রতি আপনাদের মনোযোগ আকর্ষণ করিলাম ,তাহা আমাদের জাতিকে জাগাইয়া আবার নিজের ভাবপ্রকাশে প্রবর্তিত করিবে, এবং এখনই উহা সেই শক্তিশালী এংলো-স্যাক্সন জাতি কতৃক আয়োজিত ভাব-বিনিময়ের উপযোগী উপায়গুলির সাহায্যে পৃথিবীর নিকট নিজ গুপ্ত রত্নসমূহ বাহির করিয়া দিতে ভারতকে উৎসাহিত করিতেছে। এংলো-স্যাক্সন জাতি ভারতের ভাবী উন্নতির পথ খুলিয়া দিয়াছে। আমাদের পূর্বপুরুষগণের ভাবসমূহ এখন যেরূপ ধীরে ধীরে বহু স্থানে তাহার প্রভাব বিস্তার করিতেছে, তাহ বাস্তবিকই বিস্ময়কর। যখন আমাদের পূর্বপুরুষগণ প্রথমে সত্য ও মুক্তির মঙ্গলময়ী বার্তা ঘোষণা করেন, তখন তাহদের কত স্থযোগ-সুবিধা ছিল। মহান বুদ্ধ কিভাবে সর্বজনীন ভ্রাতৃত্ব-রূপ অতি উচ্চ মতবাদ প্রচার করিয়াছিলেন ? তখনও এই ভারতে—যে-ভারতকে আমরা প্রাণের সহিত ভালবাসিয়া থাকি—প্রকৃত আনন্দ লাভ করিবার যথেষ্ট সুবিধা ছিল এবং আমরা সহজেই পৃথিবীর একপ্রাস্ত হইতে অপর প্রাস্ত পর্যন্ত আমাদের ভাব প্রচার করিতে, পারিতাম। এখন আমরা তাহা অপেক্ষ অধিক অগ্রসর হইয়া এংলো-স্যাক্সন জাতির মধ্যেও আমাদের ভাব-প্রচারে কুতকার্য হইয়াছি । এই প্রকার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া এখন চলিতেছে এবং আমরা দেখিতেছি যে, ' আমাদের দেশ হইতে প্রেরিত বার্তা তাহারা শুনিতেছে, আর শুধু যে শুনিতেছে তাহা নহে, উহার উত্তরও দিতেছে । ইতিমধ্যেই ইংলণ্ড তাহার কয়েকজন মহামনীষীকে আমাদের কাজে সাহায্যের জন্য প্রেরণ করিয়াছে। সকলেই আমার বন্ধু মিস মূলারের কথা শুনিয়াছেন এবং বোধ হয় অনেকে তাহার সহিত পরিচিতও আছেন—তিনি এখন এখানে এই বক্তৃতা-মঞ্চে উপস্থিত আছেন। এই সন্ত্রাস্তবংশীয় সুশিক্ষিতা মহিলা ভারতের প্রতি অগাধপ্রতিবশতঃ তাহার