পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৩৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ శ్రీన్రి 8 স্বামীজীর જી ও রচনা বৌদ্ধধর্মাবলম্বী রাজগণের শাসনে বৈদিক যাগযজ্ঞসকল লোপ পাইলে কেহ আর রাজভয়ে হিংসা করিতে পারিল না । কিন্তু অবশেষে বৌদ্ধদের ভিতরেই সেই যাগযজ্ঞের ভাল ভাল অংশগুলি গোপনে অঙ্গুষ্ঠিত হইতে লাগিল, তাহা इईःउ३ তস্থের উৎপত্তি। তন্ত্রে বামাচার প্রভৃতি কতকগুলি ঘৃণ্য ব্যাপার বাদ দিলে— লোকে যতটা ভাবে, উহা ততটা খারাপ নহে। বাস্তবিক বেদের ব্রাহ্মণভাগই একটু পরিবর্তিত হইয়া তন্ত্রের মধ্যে বর্তমান । আজকালকার সমুদয় উপাসনা পূজাপদ্ধতি কর্মকাণ্ড তন্ত্রমতেই অনুষ্ঠিত হইয়া থাকে। এখন ধর্মমত সম্বন্ধে একটু আলোচনা করা যাক। ধর্মমতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিরোধসত্ত্বেও কতকগুলি ঐক্য আছে। প্রথমতঃ তিনটি বিষয়— তিনটি সত্তা প্রায় সকলেই স্বীকার করেন : ঈশ্বর, আত্মা ও জগৎ । ঈশ্বর অর্থাৎ যিনি জগৎকে চিরকাল স্বজন, পালন ও লয় করিতেছেন ; সাংখ্যগণ ব্যতীত আর সকলেই ইহা স্বীকার করেন । আত্মা—অসংখ্য জীবাত্মা কর্মফলে বারবার শরীর পরিগ্রহ করিয়া জন্মমৃতু্যচক্রে ভ্রাম্যমাণ ; ইহাকে ‘সংসারবাদ’ বলে—চলতি কথায় পুনর্জন্মবাদ । আর রহিয়াছে এই অনাদি অনন্ত জগৎ । এই তিনকে কেহ একেরই বিভিন্ন অবস্থা, কেহ বা সম্পূর্ণ পৃথক তিনটি সত্তা বলিয়া মানিলেও সকলেই এই তিনটিতে বিশ্বাস করেন । এখানে একটু বক্তব্য এই যে, আত্মাকে হিন্দুরা চিরকাল মন হইতে পৃথক বলিয়া জানিতেন। পাশ্চাত্যেরা কিন্তু মনের উপর আর উঠতে পারেন নাই, পাশ্চাত্যগণ জগৎকে আনন্দপুর্ণ এবং সম্ভোগ করিবার জিনিস বলিয়া জানেন ; আর প্রাচ্যগণের জন্ম হইতে ধারণা—সংসার দুঃখপুর্ণ, উহা কিছুই নয়। এইজন্য পাশ্চাত্যেরা যেমন সঙ্ঘবদ্ধ কর্মে বিশেষ পটু, প্রাচ্যেরা তেমনি অন্তর্জগতের অন্বেষণে অতিশয় সাহসী । যাহা হউক—এখন হিন্দুধর্মের আর দু-একটি কথা লইয়া আলোচনা করা যাক । হিন্দুদের মধ্যে অবতারবাদ প্রচলিত। বেদে আমরা কেবল মংস্যঅবতারের কথা দেখিতে পাই । যাহা হউক, এই অবতারবাদের প্রকৃত তাৎপর্য মনুষ্যপুজা –মন্থম্ভের ভিতর ঈশ্বর-দর্শনই প্রকৃত ঈশ্বর-সাক্ষাংকার। হিন্দুগণ প্রকৃতি হইতে প্রকৃতিন ঈশ্বরে যান না-মচুন্য হইতে মচুন্যের ঈশ্বরে গমন করিয়া থাকেন। তারপর মূর্তিপুজা-শাস্ত্রোক্ত পঞ্চ উপাস্তদেবতা ব্যতীত সকল দেবতাই এক একটি পদের নাম, কিন্তু এই পঞ্চদেবতা সেই এক ভগবানের