জগতের কাছে ভারতের বাণী “India's Mêssage to the World' atro off of cotto ètwo stol ৪২টি চিন্তাস্বত্র লিপিবদ্ধ করিয়াছিলেন । বইটির ভূমিকাসহ সামান্ত কয়েকটি চিন্তাপুত্ৰই বিস্তারিতভাবে লেখা হইয়াছিল । দেহাবসানের পর এই অসমীপ্ত ইংরেজী রচনাটি তাহার কাগজপত্রের মধ্যে পাওয়া যায় । এখানে খসড়া-রচনাটির অনুবাদ প্রদত্ত হইল । সূচী ১. পাশ্চাত্যবাসীদের উদেশে আমার বাণী বীরত্বপুর্ণ। দেশবাসীর উদেশে আমার বাণী বলিষ্ঠতর। ২. ঐশ্বর্যময় পাশ্চাত্যে চার বংসর বাস করার ফলে ভারতবর্ষকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করিয়াছি । অন্ধকার দিক গুলি গাঢ়তর এবং আলোকিত দিকগুলি উজ্জ্বলতর হইয়াছে। ৩. পর্যবেক্ষণের ফল –ভারতবাসীর অধঃপতন হইয়াছে, এ-কথা সত্য নহে । ৪. প্রত্যেক দেশের যে সমস্যা, এখানেও সেই সমস্ত –বিভিন্ন জাতির একীকরণ ; কিন্তু ভারতবর্ষের দ্যায় এই সমস্যা অন্যত্র এত বিশালরূপে দেখা দেয় নাই । ৫. ভাষাগত ঐক্য, শাসন-ব্যবস্থা এবং সর্বোপরি ধর্ম—একীকরণের শক্তিরূপে কাজ করিয়াছে। , -> ৬. অন্যান্য দেশে ইহা দৈহিক বলের দ্বারা সাধিত হইয়াছে, অর্থাং কোন গোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতিকে অপরাপর সংস্কৃতির উপর জোর করিয়া চাপাইয়া দেওয়া হইয়াছে। ফলে ক্ষণস্থায়ী বিপুলপ্রাণশক্তিসম্পন্ন জাতীয় জীবন দেখা দিয়াছে, তারপর উহার ধ্বংস হইয়াছে । ৭. অপর পক্ষে ভারতবর্ষের সমস্যা যত বিরাট, উহা সমাধানের চেষ্টাও তত শাস্ত উপায়ে দেখা দিয়াছে । প্রাচীনতম কাল হইতে ভিন্ন আচার-পদ্ধতি, বিশেষভাবে বিভিন্ন গোষ্ঠীর ধর্মসম্প্রদায়কে স্বীকার কুরিয়া লণ্ডয়া হইয়াছে। ৮. যে-দেশে ঐক্যস্থাপনের জন্য বলপ্রয়োগই যথেষ্ট হইয়াছে, সে-দেশে বিভিন্ন গোষ্ঠীর বিচিত্র উন্নতির পন্থাগুলিকে অস্কুরেই নষ্ট করিন: প্রধান গোষ্ঠীটিই @ー求8
