পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৩৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্য ও তামিল כבר ס যায় ; তবে এই পরার্থবাদের জন্মভূমিতে নিজ জাতির সকলকে লইয়া একত্র উন্নত হইতে হইবে । • ভারতবর্ষে ব্যক্তিগত ঐশ্বর্য, ক্ষমতা বা অন্য কোন গুণের দ্বারা নিজ গোষ্ঠীর লোকদের পশ্চাতে ফেলিয়া উন্নতজাতির লোকদের সঙ্গে স্বাজাত্যের দাবি করিতে পার নু| যাহারা তোমার উন্নতিতে সহায়তা করিয়াছে, তাহাদিগকে বঞ্চিত করিয়া ঘৃণা করিতে পার না । যদি কেহ উচ্চতর জাতিতে উন্নীত হইতে চায়, তবে তাহার স্বজাতিকেও উন্নত করিতে হইবে—তাহী হইলে আর কোন কিছু বাধা দিতে পারিবে না । ইহাই ভারতীয় স্বাঙ্গীকরণপদ্ধতি—মৃদূর অতীত হইতে এই প্রচেষ্টা চলিয়া আসিতেছে। অন্য যে-কোন দেশ অপেক্ষা ভারতবর্ষের পক্ষে এ-কথা আরও বেশী করিয়া খাটে যে, আর্য ও দ্রাবিড়—এই বিভাগ কেবল ভাষাতাত্ত্বিক বিভাগমাত্র, করোটিতত্ত্বগত ( craniological ) বিভাগ নহে, সে-ধরনের বিভাগের পক্ষে কোন দৃঢ় যুক্তিই নাই । ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় নামগুলির ক্ষেত্রেও এইরূপ । উহারা কেবল একটি গোষ্ঠীর মর্যাদাসূচক, এই গোষ্ঠীও সর্বদা পরিবর্তনশীল, এমন কি পরিবর্তনের শেষ ধাপে উপনীত হইয়া যখন বিবাহনিষেধ ( non-marriage ) প্রভৃতির মধ্যেই অন্য সব প্রচেষ্ট সীমাবদ্ধ হইয়া আসিতেছে, তখনও নিম্নতর জাতি বা বিদেশ হইতে আগত লোকদিগকে নিজেদের মধ্যে গ্রহণ করিয়া এই গোষ্ঠীগুলি প্রসারিত হইতেছে । ঘে-বর্ণের হস্তে তরবারি রহিয়াছে, সেই বর্ণই ক্ষত্রিয় হইয়া দাড়ায় ; যাহারা বিদ্যাচর্চা লইয়া থাকে, তাহারাই ব্রাহ্মণ ; ধনসম্পদ যাহাদের হাতে তাহারাই বৈশ্য । যে-গোষ্ঠী আপন অভীষ্ট পর্যায়ে উন্নীত হইয়াছে, স্বাভাবিকভাবেই সে-গোষ্ঠী নবাগতদিগের নিকট হইতে নানা উপ-বিভাগের দ্বারা নিজেদের পৃথক করিয়া রাখে । কিন্তু শেষ অবধি মিলিয়া মিশিয়া এক হইয়া যায় । আমাদের চোখের উপর ভারতের সর্বত্র এইরূপ ঘটিতেছে । স্বাভাবিকভাবেই যে-গোষ্ঠীটি নিজেদের উন্নীত করিয়াছে, তাহারা নিজেদের জন্য সব সুবিধা সংরক্ষিত করিয়া রাখিতে চায়।" সুতরাং উচ্চবর্ণেরা—বিশেষতঃ ব্রাহ্মণের—এখনই সম্ভব হইয়াছে, রাজার সাহায্যে এবং প্রয়োজন হইলে অস্ত্রের