পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের ঐতিহাসিক ক্রমবিকাশ [ Historical Evolution of India–zf{:{R RRİ" } ওঁ তং সং । ওঁ নমো ভগবতে রামকৃষ্ণায় | নাসতে সদ জায়েত । অনস্তিত্ব হইতে কোন অস্তিত্বের উদ্ভব সম্ভব নহে । যtহল ‘অসং’, তাহা কোন সদ্বস্তুর হেতুও হইতে পারে না । শূন্তত হইতে কোন বস্তু জাত হয় না । কার্য-কারণ-নিয়ম আর্যজাতিরই মতো স্ব প্রাচীন । এই নিয়ম সর্বশক্তিমান, কোন দেশ বা কালের সীমায় ইহ আবদ্ধ নয় । প্রাচীন ঋষি-কবিগণ ইহার মহিমা কীর্তন করিয়াছেন, দার্শনিকগণ ইহা প্রণয়ন করিয়াছেন এবং ইহাকেই ভিত্তি প্রস্তর-রূপে স্বীকার করিয়া আজ পর্যস্ত হিন্দুজাতি তাহার জীবনদর্শন রচনা করিয়া চলিয়াছে . . যুগ-প্রারম্ভে জাতির মনে ছিল কৌতুহল ও জিজ্ঞাসা । অল্পকাল মধ্যে সেই জিজ্ঞাসাই বলিষ্ঠ বিশ্লেষণে পরিণতি লাভ করে এবং যদিও আদিযুগের প্রথমপ্রয়াসের মধ্যে র্কাচ-হাতের অপবিণত স্বাক্ষর ছিল—যেমন থাকে সুদক্ষ স্থপতির প্রাথমিক স্বষ্টির মধ্যে, তথাপি নিভীক উদ্যম ও নিখুত বৈজ্ঞানিক প্রণালীর মধ্য দিয়া সে এক বিস্ময়কর ফল প্রসব করিয়ছিল । এই জিজ্ঞাসার সাহস আর্য-ঋষিদিগকে নিয়োজিত করিয়াছিল যজ্ঞবেদীর প্রতিটি ইষ্টকখণ্ডের স্বরূপ-অনুসন্ধানে, উদ্বুদ্ধ করিয়াছিল শাস্ত্রের প্রতিটি শব্দের মাত্রানির্ণয়ে ও পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণে কিংবা ঐ গুলির পুনর্বিন্যাসে । ইহারই প্রেরণায় পুজা-উৎসবাদির তাৎপর্য সম্পর্কে কখন তাহারা সন্দেহ প্রকাশ করিয়াছিলেন, কখন ঐগুলির ব্যাখ্যায় বা বিশ্লেষণে অগ্রসর হইয়াছিলেন, কখন বা সেগুলি একেবারে বর্জন করিয়াছিলেন। এই অনুসন্ধিংসার ফলে প্রচলিত দেবতাবৰ্গকে নূতন করিয়া ঢালিয়া সাজ হইয়াছিল এবং সর্বজ্ঞ, সর্বব্যাপী ও সর্বশক্তিমান বিশ্বস্রষ্টারূপে যিনি কীর্তিত, যিনি পিতৃপুরুষের স্বৰ্গীয় পিতা—তাহার জন্য হয় একটি দ্বিতীয় পর্যায়ের স্থান