পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৩৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের ঐতিহাসিক ক্রমবিকাশ ○tr意 নির্দিষ্ট হইয়াছিল, অথবা এককালে অপ্রয়োজনীয় বোধে তাহাকে দূরে নিক্ষেপ করিয়া, তাহাকে বাদ দিয়াই এক সার্বভৌম ধর্ম প্রবর্তিত হইয়াছিল, সকল ধর্ম অপেক্ষ সেই ধর্মের অতুগামি-সংখ্যা আজও সর্বাধিক । ইহারই অনুপ্রেরণায় যজ্ঞবেদীর ঈষ্টক-স্থাপন-ব্যবস্থ হইতে জ্যামিতিবিজ্ঞানের উদ্ভব হইয়াছিল । আবার পুজা-উপাসনার যথাযথ কাল-নির্ণয়ের চেষ্ট হইতেই উদ্ভুত হইয়াছিল জ্যোতির্বিজ্ঞান, যাহা সকলকে বিস্মিত করিয়াছিল। ঐ অনুসন্ধিংস হইতেই অঙ্কশাস্ত্রে তাহদের দান প্রাচীন অথবা আধুনিক যে-কোন জাতির দান অপেক্ষ অধিকতর হইয়াছিল এবং রসায়নশাস্ত্রে ধাতুঘটিত ঔষধ প্রস্তুত করিলার অভিজ্ঞতায়, সঙ্গীতের সুরগ্রাম-নির্ধারণে, বেহালজাতীয় তারযন্ত্রের উদ্ভাবনে তাহদের যে প্রতিভ, তাহাই আধুনিক পাশ্চাত্য সভ্যতা গডিয়া তুলিতে প্রভূত সাহায্য করিয়াছিল । এই ভাব হইতেই বিচিত্র গল্প ও উপাখ্যানের সাহায্যে অপরিণত শিশুমন গড়িয়া তুলিবার পদ্ধতি আবিষ্কৃত হইয়াছিল এবং আজও পৃথিবীর সর্বদেশে শৈশবের শিক্ষায়তনে শিশুগণ ঐ-সকল গল্পই শিথিয় থাকে, আর ঐ গুলির মধ্য দিয়াই জীবনের পটে সুস্পষ্ট ছাপ গ্রহণ করে । এই তীক্ষু বিশ্লেষণ-শক্তিব সম্মুখে এবং পশ্চাতে যেন একটি কোমল ও মহুণ আচ্ছাদন ছিল এবং তাহারই মধ্যে সুরক্ষিত ছিল এই জাতির অপর একটি মানসিক বৈশিষ্ট্য—যাহাকে ‘কবির অন্তদৃষ্টি বলিয়। অভিহিত কর। যাইতে পারে। এই জাতির ধর্ম, দর্শন, ইতিহাস, নীতিশাস্ত্র, পৌরবিজ্ঞান প্রভৃতি সব কিছুই যেন কবি-কল্পনার পুপবেদীতে স্থাপিত ছিল এবং সেগুলিকে অন্য যে-কোন ভাষ। অপেক্ষ। সুন্দরতররূপে প্রকাশ করিয়াছিল এক বিচিত্র ভাষা— যাহার নাম ‘সংস্কৃত বা ‘পূর্ণাঙ্গ ভাষা। এমন কি গণিতের কঠিন সংখ্যাতত্ত্বসমূহ প্রকাশ করিতে ও ছন্দোবদ্ধ শ্লোক ব্যবহৃত হইয়াছিল । সেই বিশ্লেষণী শক্তি এবং নিভীক কবি-কল্পনা, যাহা ঐ শক্তিকে প্রেরণা দিত—এই দুইটি আভ্যস্তরীণ কারণই হিন্দুর জাতীয় চরিত্রের প্রধান সুর ; ঐ দুইটি সমন্বিত শক্তির বলেই আর্যজাতি চিরদিন ইন্দ্রিয়-স্তর হইতে অতীন্দ্রিয় স্তরের দিকে গতিশীল, এবং ইহাই এই জাতির দার্শনিক চিন্তাধারার গোপন রহস্য; ইহা দক্ষকারিগর-নির্মিত ইস্পাত-ফলকের মতে, যাহা 金一象总