পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৪১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ෆ V স্বামীজীর বাণী ও রচনা সুনিপুণ বাগিতার সঙ্গে বক্তা তার ভাষণ শেষ করেন। র্তার বক্তব্য আগাগোড়া সহজ সরল , কিন্তু যখনই তিনি কোন চিত্র-বর্ণনায় রত হন, তখন তা অপূর্ব কাব্যের মতো শোনায়, তা থেকে প্রমাণিত হয় যে, পূর্বদেশীয় ভ্রাতা প্রকৃতির সৌন্দর্য কত গভীর ও নিবিড়-ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন । তার অপরিমিত আধ্যাত্মিকতার স্পর্শ শ্রোতাগণ অনুভব করেন, কারণ তা চেতন ও অচেতন সকল বস্তুর প্রতি ভালবাসারূপে এবং সমন্বয়ের ঐশী বিপান ও কল্যাণকর অভিপ্রায়ের বিচিত্র কার্যরীতির গভীরে প্রবেশ করবার প্রখর অস্তদৃষ্টিরূপে স্বতঃপ্রকাশিত । * ভারতের মানুষ ১৯• • গ: ১৯শে মার্চ, সোমবাব ওকল্যাণ্ড এনকোয়ারাব’-পত্রের সম্পাদকীয় মন্তব্য সহ বক্তৃতাটির সারমর্ম প্রকাশিত । সোমবার বাত্রে স্বামী বিবেকানন্দ নুতন পর্যায়ে ‘ভারতের মাতুয’ সম্পর্কে যে-ভাষণ দেন, তা শুধু সে-দেশের লোকের সম্বন্ধে তথ্য-বর্ণনার জন্যই নয়, এরূপ কোন উদ্দেশ্য না নিয়েও তাদের মানসিক দৃষ্টিভঙ্গী ও সংস্কারসম্পর্কে যে অন্তদৃষ্টির পরিচয় দিয়েছেন, তার জন্যই মনোজ্ঞ হয়েছিল। বস্তুতঃ বালবিধবা, নারী-পীড়ন এবং ভারতীয়দের বিরুদ্ধে এরূপ নানা বর্বরতার অভিযোগের আলোচনা শুনে শুনে তিনি স্পষ্টতই অনেকটা বিরক্ত হয়েছেন এবং উত্তরে পালটা অভিযোগ করার কিছুটা প্রবণতা তার মধ্যে দেখা যায় । ভাষণের প্রারম্ভে তিনি শ্রোতৃমণ্ডলীর নিকট ভারতবাসীর জাতিগত বৈশিষ্টের পরিচয় প্রদান করেন। তিনি বলেন যে, এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো ভারতে ঐক্যের বন্ধন হ’ল ধৰ্ম ভাষা বা গোষ্ঠি ( race ) নয় । ইওরোপে গোষ্টি ( race ) নিয়েই জাতি ( nation ) । কিন্তু এশিয়ায়—যদি ধর্ম এক হয়, তবে বিভিন্ন বংশোদ্ভূত এবং বিভিন্ন ভাষা-ভাষীদের নিয়ে এক একটি জাতি । গড়ে ওঠে । । {