পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৪৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

B\:శ్రీ স্বামীজীর বাণী ও রচনা আমাদের উপর চালু করিল। আমরা পরাজিত জাতি। ইংরেজ যদি বলে, কাল তোমার ভগ্নীকে বিবাহ করিব, আমরা কি করিতে পারি ? ' আমাদের সমাজ-বিধানে বলে, পরস্পরের মধ্যে রক্ত-সম্পর্কের দূরত্ব যতই থাকুক না কেন, এক জ্ঞাতিগোত্রের ভিতর বিবাহ অবৈধ। কারণ ঐক্লপ বিবাহের দ্বারা জাতির অধোগতি হয়, বংশ লোপ পায়। কিছুতেই এ ধরনের বিবাহ হইতে পারে না এবং এইখানেই এ প্রসঙ্গ থামিয়া যায় । সুতরাং আমার বিবাহ-ব্যাপারে আমার নিজের কোন মত নাই, আমার ভগ্নীর বিবাহব্যাপারে তাহারও মতামত কিছু নাই। জাতি-বর্ণের অনুশাসনের দ্বারা সব কিছু নির্ধারিত হয়। অনেক সময় আমাদের দেশে শৈশবেই বিবাহ দেওয়া হয় । কেন ? সমাজের আদেশ। পুত্ৰ-কন্যাদের সম্মতি ছাড়াই যদি তাহদের বিবাহ দিতে হয়, তাহা হইলে প্রেমের উন্মেষের পূর্বেই শৈশবে বিবাহ দেওয়া উচিত। যদি তাহারা পৃথকৃভাবে বড় হয়, তাহা হইলে বালকের হয়তো অন্য আর একটি বালিকাকে ভাল লাগিতে পারে এবং বালিকাও হয়তো আর একটি বালককে পছন্দ করিতে পারে। ফলে একটা মন্দ কিছু ঘটিতে পারে। সেইজন্য সমাজ বলে যে, ঐখানেই উহা বন্ধ করিয়া দাও । আমার ভগিনী বিকলাঙ্গ স্বত্র বা কুশ্রী, তাহা আমি গ্রাহাই করি না, সে আমার ভগিনী—ইহাই যথেষ্ট । সে আমার ভ্রাতা—এইটুকু জানিলেই আমার যথেষ্ট হইল। স্বতরাং তাহার। পরস্পরকে ভালবাসিবে। আপনারা বলিতে পারেন, অনেকখানি আনন্দ হইতে তাহারা বঞ্চিত । পুরুষের পক্ষে একটি নারীর প্রেমে পড়ার এবং নারীর পক্ষে । একজন পুরুষের প্রেমে পড়ার কি অপূর্ব হৃদয়াবেগ, সে আনন্দ হইতে তাহার। বঞ্চিত হয় । ইহা তো ভ্রাতা-ভগ্নীর ভালবাসার মতো ! যেন ভালবাসিতে তাহারা বাধ্য। ভাল, তাহাই হউক। কিন্তু হিন্দু বলে, “আমরা সমাজতান্ত্রিক । একটি পুরুষ বা নারীর বিশেষ আনন্দের জন্য আমরা শত শত লোকের মস্তকে দুঃখের বোঝা চাপাইতে চাই না।’ • তাহাদের বিবাহ হইয়া যায়। স্বামীর সহিত বধূ স্বামীর ঘরে আসে– ইহাকেই বলা হয় ‘দ্বিতীয় বিবাহ’ । শৈশবকালীন বিবাহকে বলা হয় ‘প্রথম বিবাহ এবং ঐ সময়ে তাহারা পৃথকভাবে তাহাদের নিজ নিজ গৃহে মেয়েদের সঙ্গে, পিতামাতার সঙ্গে বাস করে। যখন তাহাদের বয়স হয়, তখন ‘দ্বিতীয়