পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৪৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের নারী 88○ চায় না ; কিন্তু য়াহারা চায়, তাহারাই জয়লাভ করিয়াছে। আশ্চর্যের বিষয় : আজও ইংলণ্ডে অক্সফোর্ড ও কেম্বি জ বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং আমেরিকায় হার্ভার্ড ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বার মেয়েদের জন্য রুদ্ধ। কিন্তু কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ বৎসরেরও অধিক হইল, নারীদের জন্য উহার দ্বার উন্মুক্ত করিয়া দিয়াছে। আমার মনে আছে, যে বৎসর আমি বি. এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই, সেই বৎসর কয়েকটি ছাত্রীও ঐ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছিল। ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য একই মান, একই পাঠ্যসূচী ছিল এবং পরীক্ষায় ছাত্রীরা বেশ ভালই করিয়াছিল। মেয়েদের শিক্ষা-ব্যাপারে আমাদের ধর্ম বাধা দেয় না । এইরূপে মেয়েদের শিক্ষা দিতে হইবে, এইভাবে তাহাদিগকে গড়িয়া তুলিতে হইবে, প্রাচীন পুস্তকে আমরা আরও দেখি--ছেলে ও মেয়েরা উভয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ করিতেছে, কিন্তু পরবর্তী কালে সমস্ত জাতির শিক্ষাই অবহেলিত হইয়াছে । বৈদেশিক শাসনে কি আর আশা করা যায় ? বিদেশী বিজেতারা আমাদের কল্যাণ করিবার জন্য তো আসে নাই । তাহারা ধনসম্পদ চায় । আমি বারে। বৎসর কঠোর অধ্যয়ন করিয়া কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হইতে বি. এ. পাশ করিয়াছি ; কিন্তু আমার দেশে আমি মাসে পাচ ডলারও উপার্জন করিতে পারি না । ইহা কি আপনার বিশ্বাস করিবেন ? ইহাই প্রকৃত অবস্থা । বিদেশী-প্রবর্তিত শিক্ষায়তনগুলির উদ্দেশু-বহুসংখ্যক কেরানী, পোস্টমাস্টার, তারচালক (টেলিগ্রাফ অপারেটর)প্রভৃতি তৈয়ারি করিয়া অল্প অর্থের বিনিময়ে প্রয়োজনের উপযোগী একদল কর্মদক্ষ ক্রীতদাস পাওয়া। ইহাই হইল এই শিক্ষার স্বরূপ । ফলে, বালক-বালিকাদের শিক্ষা সম্পূর্ণ উপেক্ষিত হইতেছে। আমাদের দেশে করিবার অনেক কিছু আছে। যদি আপনারা আমাকে ক্ষমা করেন, এবং অনুমতি দেন, তাহা হইলে আপনাদেরই একটি প্রবাদ বাক্য আমি বলি, ‘হংসীর যাহা খাদ্য, হংসেরও খাদ্য তাই’ । ১ বিদেশী মহিলারা হিন্দু মেয়েদের কঠোর জীবন দেখিয়া কত চীৎকার করেন, কাদেন, কিন্তু হিন্দু পুরুষদের কঠোর জীবনের উপর আপনাদের কোনই দৃষ্টি নাই। আপনাদের চোখের জল কৃত্রিম । ছোট ছোট বালিকাদের বিবাহ হয় 琴 > *What is sauçe for the goose is sauce for the gander,’