পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৪৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুধর্মের সার্বভৌমিকতা 8@@ আসিয়া যায় না, এমন কি মনুষ্যজন্ম পর্যন্ত আবশ্বক নয় ; একমাত্র প্রয়োজন— ভক্তি . জ্ঞান ও ভক্তি সর্বত্র নিরপেক্ষ বলিয়া প্রচারিত হইয়াছে। সুতরাং কোন আচার্যই এরূপ, বলেন নাই যে, মুক্তিলাভে কোন বিশেষ মতাবলম্বীর, বিশেষ বর্ণের বা বিশেষ জাতির অধিকার। এ বিষয়ে অন্তরা চাপি তু তদ্‌ষ্টে: —এই বেদান্তসূত্রের উপর শঙ্কর, রামানুজ ও মধ্বকৃত ভান্য পাঠ কর । সমুদয় উপনিষদ অধ্যয়ন কর, এমন কি সংহিতাগুলির মধ্যে কোথাও অন্যান্য ধর্মে মোক্ষের যে সঙ্কীর্ণ ভাব আছে, তাহ পাইবে না। অপর ধর্মের প্রতি সহানুভূতির ভাব সর্বত্রই রহিয়াছে, এমন কি অধ্বযু বেদের সংহিতাভাগের চত্বারিংশং অধ্যায়ের তৃতীয় বা চতুর্থ শ্লোকে আছে—(যদি আমার ঠিক স্মরণ থাকে ) ‘ন বুদ্ধিভেদং জনয়েদজ্ঞানাং কৰ্মসঙ্গিনাং । এই ভাব হিন্দুধর্মের সর্বত্র রহিয়াছে। যতদিন কেহ সামাজিক নিয়ম পালন করিয়া চলিয়াছে, ততদিন ভারতে কেহ কি কখন নিজ ইষ্টদেবতা নির্বাচনের জন্য, নাস্তিক বা অজ্ঞেয়বাদী হইবার জন্য নিগৃহীত হইয়াছে ? সামাজিক নিয়মভঙ্গের অপরাধে সমাজ যে-কোন ব্যক্তিকে শাসন করিতে পারেন, কিন্তু কোন ব্যক্তি, এমন কি অতি নীচ পতিত পর্যন্ত কখন হিন্দুধর্মমতে মুক্তির অনধিকারী নয়। এই দুইটি একসঙ্গে মিশাইয়া গোল করিও না । ইহার উদাহরণ দেখ। মালাবারে একজন চণ্ডালকে একজন উচ্চবর্ণের লোকের সঙ্গে এক রাস্তায় চলিতে দেওয়া হয় না, কিন্তু সে মুসলমান বা খ্ৰীষ্টান হইলে তাহাকে অবাধে সর্বত্র যাইতে দেওয়া হয়, আর এই নিয়ম একজন হিন্দুরাজার রাজ্যে কত শতাব্দী ধরিয়া রহিয়াছে ! ইহা একটু অদ্ভুত রকমের বোধ হইতে পারে, কিন্তু অতিশয় প্রতিকূল অবস্থার ভিতরও অপরাপর ধর্মের প্রতি হিন্দুধর্মের সহানুভূতির ভাবও ইহাতে প্রকাশিত হইতেছে। হিন্দুধর্ম এই এক বিষয়ে জগতের অন্যান্য ধর্ম হইতে পৃথক, এই একটি ভাব প্রকাশ করিতে সাধুগণ সংস্কৃতভাষার সমুদয় শব্দরাশি প্রায় নিঃশেষিত করিয়াছেন যে, মানুষকে এই জীবনেই ব্ৰহ্ম উপলব্ধি করিতে হইবে, এবং অদ্বৈতবাদ আর একটু অগ্রসর হইয়া বলেন যে, ব্রহ্মবিদ ব্রহ্মৈব ভবতি—এ কথা খুব যুক্তিসঙ্গতও বটে। -سسسه س-سسساس گاماس-اس-.-. سس سلماس ১ কোন্তস্বত্র ৩৪৩৬ . १ গীতাতেও আছে,১২৬