পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e \g স্বামীজীর বাণী ও রচনা צ তখনই বুঝিবে—সেও তোমাদের মতো একজন মাহুষ ; তখনই তোমর। বুঝিতে চেষ্টা করিবে যে, নানা অবস্থাচক্ৰে পডিয়া সে ক্রমশঃ অবনত হইয়াছে ; আর বুঝিবে, যদি তুমি তাহার মতো অবস্থায় পড়িতে, হয়তো আত্মহত্যা করিতে। আমার একটি নারীর কথা মনে হইতেছে—তাহার স্বামী ছিল ঘোর মাতাল । স্ত্রীলোকটি আমার নিকট তাহার স্বামীব অতিরিক্ত পানদোষ-সম্বন্ধে অভিযোগ করিত fআমার কিন্তু নিশ্চিত ধারণl=অধিকাংশ লোক তাহাদের স্ত্রীর দোষে মাতাল হইয়া থাকে । ১তোষামোদ করা আমার কাজ নয়, অামাকে সত্য বলিতে হইবে । যে-সকল অবাধ্য মেয়েদের মন হইতে সহাগুণ একেবারে চলিয়া গিয়াছে এবং যাহার। স্বাধীনতা সম্বন্ধে ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হইয়া বলিযা থাকে, তাহারা পুরুষদিগকে নিজের মুঠোর ভিতর রাখিবে, এবং যখনই পুরুষের সাহস করিয়া তাহদের অরুচিকর কথা বলে, তখনই চীৎকার কবিতে থাকে—এরূপ মেয়েরা জগতের মহা অকল্যাণস্বরূপ হইয়া দাডাইতেছে,আর ইহাদের অত্যাচারে জগতের অর্ধেক লোক যে এখনও কেন আত্মহত্যা করিতেছে না, ইহাই আশ্চষের বিষয় )এই নারীগণ অর্ধাশনপীড়িত প্রচারকগণকে তাহীদের দিকে টানিয়া লইতেছে , আর তাহারাও বলিতেছে, “মহিলাগণ, আপনাবাই জগতে সর্বাপেক্ষা আশ্চর্য জীব ।’ তখন আবার ঐ রমণীগণ এই প্রচাবকদের সম্বন্ধে বলিতে থাকে, ‘ইনিই আমাদের পক্ষের প্রচারক”, আর তাহাকে টাকাকডি ও অন্যান্য আবশ্যক দ্রব্যাদি দিতে থাকে। এইরূপেই জগৎ চলিতেছে ; কিন্তু জীবনটা তো এরূপ একটা তামাস নয় ; জীবনে গভীরভাবে প্রণিধান ও আলোচনা করিবার বিষয় অনেক অাছে । এখন তোমাদিগকে আজিকার বক্তৃতার মুখ্য বিষয়গুলি পুনরালোচনা করিতে বলিতেছি। প্রথমতঃ আমাদিগকে মনে রাখিতে হইবে যে, আমরা সকলেই জগতের নিকট ঋণী , জগৎ আমাদের নিকট এতটুকু ঋণী নয়। আমাদের সকলেরই মহা সৌভাগ্য যে, আমরা জগতের জন্য কিছু করিবার সুযোগ পাইযাছি । জগৎকে সাহায্য করিতে গিয়া আমরা প্রকৃতপক্ষে নিজেদেরই কল্যাণ করিয়া থাকি। দ্বিতীয়তঃ এই জগতে একজন ঈশ্বর আছেন । ইহা সত্য নয় যে, এই জগৎ স্রোতে ভাসিয়া চলিয়াছে এবং তোমার বা আমার সাহায্যের অপেক্ষায় রহিয়াছে । ঈশ্বর জগতে সর্বদাই বর্তমান ।