পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনাসক্তিই পূর্ণ আত্ম্যাগ ১১৩ কবি বলিয়াছেন, আর এক চতুর্থ শ্রেণীর মাস্থ্য আছে, তাহারা অনিটের জন্যই অনিষ্ট করিয়া থাকে। সর্বোচ্চ স্তরে যেমন দেখা যায়, সাধু-মহাত্মার। ভালোর জন্তই ভালো করিয়া থাকেন, তেমনই সর্বনিম্ন প্রান্তে এমন কতকগুলি লোক আছে, যাহারা কেবল অনিষ্টের জন্তই অনিষ্ট করিয়া থাকে। তাহার। উহা হইতে কিছু লাভ করিতে পারে না, কিন্তু ঐ অনিষ্ট করাই তাহদের স্বভাব। দুইটি সংস্কৃত শব্দ আছে : একটি—“প্রবৃত্তি’, সেইদিকে আবর্তিত হওয়া অর্থাৎ যাওয়া ; আর একটি—"নিবৃত্তি', সেদিক হইতে নিবৃত্ত হওয়া অর্থাৎ ফিরিয়া আসা। সেইদিকে বর্তিত হওয়া’কে সংসার বলি। এই আমিআমার’— যাহা কিছু এই "আমি"কে টাকা-কড়ি, ক্ষমতা, নাম-যশ দ্বারা সর্বদাই সমৃদ্ধ করিতেছে—এগুলি সব প্রবৃত্তির অস্তভূত। এই প্রবৃত্তির প্রকৃতি সব কিছু আঁকড়াইয়া ধরা। সর্বদাই সব জিনিস এই 'আমি-রূপ কেন্দ্রে জড়ে। করা। ইহাই প্রবৃত্তি-ইহাই মনুষ্যমাত্রের স্বাভাবিক প্রবণতা, চারিদিক হইতে যাহা কিছু সব গ্রহণ করা এবং এক কেন্দ্রের চারিদিকে জড়ো করা। সেই কেন্দ্র তাহার নিজের মধুর আমি'। যখন এই প্রবণতা ভাঙিতে থাকে, যখন নিবৃত্তি বা ‘সেইদিক হইতে চলিয়া যাওয়ার ভাব’ আসে, তখনই নীতি এবং ধর্ম আরম্ভ হয়। প্রবৃত্তি’ ও ‘নিবৃত্তি’ উভয়ই কর্ম ; প্রথমটি অসং কর্ম, দ্বিতীয়টি সং কর্ম। এই নিবৃত্তিই সকল নীতি এবং ধর্মের মূল ভিত্তি। উহার পূর্ণতাই সম্পূর্ণ আত্মত্যাগ –পরের জন্য মন, শরীর, এমন কি সর্বস্ব ত্যাগ করিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকা । যখন এই অবস্থা লাভ হয়, তখনই মানুষ কর্মযোগে সিদ্ধি লাভ করে। সৎকর্মের ইহাই শ্রেষ্ঠ ফল। এক ব্যক্তি সমগ্র জীবনে একটি দর্শনশাস্ত্রও পাঠ করেন নাই, তিনি হয়তো কখনও কোনরূপ ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন নাই, এবং এখনও করেন না, তিনি হয়তো সারা জীবনে একবারও ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করেন নাই ; কিন্তু যদি কেবল সৎ কর্মের শক্তি র্তাহাকে এমন অবস্থায় লইয়া যায়, যেখানে তিনি পরার্থে তাহার জীবন ও যাহা কিছু সব ত্যাগ করিতে উদ্যত হন, তাহা হইলে বুঝিতে হুইবে, জ্ঞানী জ্ঞানের দ্বারা এবং ভক্ত উপাসনা দ্বারা যে অবস্থায় উপনীত হইয়াছেন, उिनिe cनहेशांप्नई cशौझिब्रांटझन । श्उब्रां२ cनशि-खांनौ, कर्णैौं ७ उख् সকলে একই স্থানে উপনীত হইলেন, মিলিত হইলেন। এই একস্থান—