পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भूखि 〉s ● কতকগুলি ঘটনাপরম্পরা ধারণ করে, সেই প্রণালীই নিয়ম ; এই নিয়ম আমাদের মনে অবস্থিত। কতকগুলি ঘটনা একটির পর আয় একটি অথবা একসঙ্গে সংঘটিত হইলে আমাদের মনে দৃঢ় ধারণা হয়, ভবিস্ততে নিয়মিতভাবে পুনঃ পুনঃ এইরূপ ঘটিবে ; ঘটনাপরম্পরা কিভাবে সংঘটিত হইতেছে, আমাদের মন এইভাবেই তাহ ধরিতে পারে। ইহাকেই বলা হয়—নিয়ম । এখন জিজ্ঞাস্ত—"নিয়ম সর্বব্যাপক বলিতে আমরা কি বুঝি ? আমাদের জগং অনন্ত সত্তার সেইটুকু অংশ, যাহাকে আমাদের দেশের মনোবিজ্ঞানবিদগণ "দেশ-কাল-নিমিত্ত’ বলেন এবং ইওরোপীয় মনোবিজ্ঞানে যাহ। স্থান কাল ও ștą“ ( space, time, causation ) fix offsvs i się gots criề অনন্ত সত্তার এতটুকু অংশমাত্র, একটি নির্দিষ্ট ছাচে ঢাল, দেশ-কাল-নিমিত্তে গঠিত। ঐক্কপ ছাচে ঢালা অস্তিত্ব-সমষ্টির নামই আমাদের জগৎ । অপরিহার্যভাবে এই সিদ্ধাস্ত করিতে হয় যে, নিয়ম কেবল এই কার্য-কারণ-নিয়ন্ত্রিত জগতের মধ্যেই সম্ভব, ইহার বাহিরে কোন নিয়ম থাকিতে পারে না। যখন আমরা এই জগতের কথা বলি, তখন আমরা বুঝি, অস্তিত্বের যে অংশটুকু আমাদের মনের দ্বারা সীমাবদ্ধ, খে ইন্দ্রিয়গোচর জগৎ আমরা অনুভব করি, স্পর্শ করি, দেখি, শুনি, চিন্তা করি এবং কল্পনা করি, সেইটুকুই কেবল নিয়মাধীন ; কিন্তু ইহার বাহিরের সত্ত। নিয়মের অধীন নয়, যেহেতু কাৰ্য-কারণ-ভাব আমাদের মনোজগতের বাহিরে আর যাইতে পারে না। অামাদের ইন্দ্রিয়-মনের অতীত কোন বস্তুই এই কার্য-কারণ-নিয়ম দ্বারা বদ্ধ নয়, কারণ ইন্দ্ৰিয়াতীত রাজ্যে বিভিন্ন বস্তুর ভাবাহুষঙ্গ-সম্বন্ধ মাই, এবং ভাব-সম্বন্ধ ব্যতীত কার্য-কারণ-সম্বন্ধও থাকিতে পারে না। নাম-রূপের ছাচের মধ্যে পড়িলেই সত্তা বা চৈতন্য কার্য-কারণ-নিয়ম মানিয়া চলেন এবং তখনই বলা হয়, উহ। নিয়মের অধীন, যেহেতু কার্য-কারণ-সম্বন্ধই সকল নিয়মের মূল। এখন আমরা সহজেই বুঝিতে পারিব যে, স্বাধীন ইচ্ছা বলিয়া কিছু থাকিতে পারে না ; ঐ শব্দগুলি পরস্পরবিরুদ্ধ, কারণ ইচ্ছ। জ্ঞানের অন্তর্গত, এবং যাহ। কিছু অমর জানি, সে-সবই আমাদের জগতের আন্তর্গত । আবার জগতের অন্তর্গত সবকিছুই দেশ-কাল-নিমিত্তের ছাচে ঢাল । হাঙ্গ কিছু আমরা জানি, বা যাহা কিছু জানা আমাদের পক্ষে সম্ভব, সবই *া-কারণের অধীন ; এবং বাহা কিছু কাৰ্য-কারণ-নিয়মের অধীন, তাহ।