পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর্মযোগের ਬ’ >8ー。 সংগ্রাম ও প্রতিদ্বম্বিতা দ্বারা। মনে কর, পদার্থের পরমাণুগুলি সব সম্পূর্ণ সাম্যাবস্থায় আছে, তাহা হইলে কি স্বষ্টিকার্য চলিতে থাকিবে ? বিজ্ঞানের সাহায্যে জানি, ইহা অসম্ভব। জলাশয়ের জল নাড়িয়া দাও, দেখিবে প্রত্যেক জলবিন্দু আবার শাস্ত হইবার চেষ্টা করিতেছে, একটি অার একটির দিকে প্রবাহিত হইতেছে। এই একইভাবে—‘বিশ্বজগৎ বলিয়া কথিত এই ইন্দ্রিয়গ্রাহ প্রপঞ্চ—ইহার অন্তর্গত সকল পদার্থই তাহদের পূর্ণ সাম্যভাৰে ফিরিয়৷ যাইতে চেষ্টা করিতেছে । আবার বিক্ষোভ দেখা দেয়, আবার সংযোগ হয়—স্বষ্টি হয় । বৈষম্যই স্বষ্টির ভিত্তি। স্বষ্টির জন্ত সাম্যভাববিনাশকারী শক্তির যতটা প্রয়োজন, সঙ্গে সঙ্গে সাম্যভাব-স্থাপনকারী শক্তিরও ততটা প্রয়োজন । সম্পূর্ণ সাম্যভাব-বাহার অর্থ সর্বস্তরে সংগ্রামশীল শক্তিগুলির পূর্ণ সামঞ্জস্ত, তাহা এ-জগতে কখনই হইতে পারে না। এই অবস্থায় উপনীত হইবার পূর্বেই জগৎ জীব-বাসের সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত হইয়া যাইবে, এখানে আর L কেহই থাকিবে না। অতএব আমরা দেখিতেছি, এই স্বর্ণযুগ বা পূর্ণ সাম্যভাব-সম্বন্ধে ধারণাসমূহ শুধু ষে অসম্ভব তাহ নয়, পরন্তু যদি আমরা : ঐ ধারণাগুলি কার্ধে পরিণত কল্পিতে চেষ্টা করি, তবে নিশ্চয়ই সেই প্রলয়ের দিন ঘনাইয়া আসিবে । মাচুষে মানুষে প্রভেদের কারণ কি ?—প্রধানতঃ মস্তিষ্কের ভিন্নতা । আজিকাল_পাগল ছাড়া_আর_কেহুই বলিবে না ત્ય, আমরা সকলেই একরূপ মস্তিষ্কের শক্তি লইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছি। ভিন্ন ভিন্ন শক্তি লইয়া আমরা জগতে আসিয়াছি। কেহ বড়, কেহ বা সামান্য হইয়া আসিয়াছি, জন্মের পূর্বে নির্ধারিত পরিবেশ অতিক্রম করা যায় না। আমেরিকার রেড ইণ্ডিয়ানগণ সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসর যাবৎ এই দেশে বাস করিতেছিল, আর তোমাদের অতি অল্পসংখ্যক পূর্বপুরুষ এদেশে আসিয়াছিলেন। দেশের চেহারায় তাহারা কত পরিবর্তন সাধন করিয়াছেন ! যদি সকলেই সমান, তবে রেড ইণ্ডিয়ানরা নানাপ্রকার উন্নতি এবং নগরাদি নির্মাণ করে নাই কেন ? কেনই বা তাহারা চিরকাল বনে বনে শিকার করিয়া পেডাইল ? তোমাদের পূর্বপুরুষগণের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ভিন্ন প্রকৃ মস্তিক্ষশক্তি ও ভিন্ন প্রকার সংস্কারসমষ্টি আসিয়া একযোগে কাজ ब्रा" নিজেদের উন্নতি করিয়াছে। আত্যস্তিক বৈষম্যশূন্যতাই মৃত্যু. যতদিন