পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর্ম ও তাহার স্বহত্যু ֆձՊ, হৃদয়বৃত্তিকে সতেজ রাখিতে হুইবে—এই সমস্ত বিয়-বিপর্যয়ের মধ্যেও আমাদের আভ্যন্তরীণ দেবত্বকে দৃঢ়চিত্তে প্রকাশ করিতে হইবে। প্রকৃতি চায়—আমরা প্রতিক্রিয়াশীল হই, আঘাতের বিনিময়ে আঘাত করি, প্রতারণার বিনিময়ে প্রতারণা করি, মিথ্যার বিনিময়ে মিখ্যার আশ্রয় লই, আমাদের সর্বশক্তি দ্বারা আঘাতের সমুচিত উত্তর দিই। তাহ হইলে দেখা যাইতেছে, জাঘাতের বদলে প্রত্যাঘাত না করিতে হুইলে নিজেকে সংযত করিতে—সর্বোপরি অনাসক্ত হইতে এক বিরাট দিব্য শক্তির প্রয়োজন । প্রতিদিন আমরা নিত্য নুতনভাবে অনাসক্ত থাকিবার জন্য দৃঢ়সঙ্কল্প হই। আমরা আমাদের অতীত ভালবাসা ও আসক্তির বিষয়গুলির দিকে তাকাই এবং অনুভব করি, উহাদের প্রত্যেকটিই আমাদের জীবন কিরূপ দুঃখময় করিয়া তুলিয়াছে। আমাদের ভালবাসা’র জন্যই আমরা নৈরাপ্তের অতলগর্তে চলিয়া গিয়াছি ! বুঝিতে পারিলাম, আমরা অপরের হস্তে নিতান্ত ক্রীতদাস ; আমাদের টানিয়া নিম্ন হইতে নিম্নতর অবস্থায় নামানো হইয়াছে ! আবার আমরা নূতনভাবে দৃঢ়সঙ্কল্প হই ; এখন হইতে আমি নিজের উপর সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব করিব, এখন হইতে নিজেকে সংযত করিব। কিন্তু কার্যকালে একই কাহিনীর পুনরাবৃত্তি হয়! আবার জীব বদ্ধ হইয় পড়ে, আর বাহির হইতে পারে না। জীব-পক্ষী জালে আবদ্ধ—পক্ষসঞ্চালন করিয়া মুক্তিলাভের চেষ্টা করিতেছে । ইহাই আমাদের জীবন ! আমি জানি নিজেকে সংযত করা কত কষ্টকর ! বাধাবিপত্তিগুলি প্রচণ্ড ; এবং আমাদের মধ্যে শতকরা নব্বই জন নিরাশ ও নিরুৎসাহ হইয়া পড়ি ; কালক্রমে আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুঃখবাদী হইয়া সাধুতা, প্রেম এবং জীবনে যাহা কিছু উদার ও মহৎ তাহাতে বিশ্বাস হারাই। সেই জন্য আমরা দেখিতে পাই, যে-সকল ব্যক্তি জীবনের প্রথম অবস্থায় সরল, দয়ালু, অকপট ও ক্ষমাশীল থাকেন, তাহারাই বাধক্যে সত্যের মুখোশ-পর মিথ্যাচারীতে পরিণত হন। তাহদের মন যেন স্থূপীকৃত জটিলতা ! ' হয়তো বা র্তাহীদের মধ্যে অনেকটা বাহ বিচক্ষণতা থাকিতে পারে, তাহারা উগ্র-মস্তিষ্ক নন ; তাহারা বিশেষ কথা বলেন না, কাহাকেও অভিশাপ । नि ন, ক্রুদ্ধও হন না ; কিন্তু ক্রুদ্ধ হইতে পারাও ত্বাহীদের পক্ষে ভাল ছিল, অভিশাপ দিতে পারাও সহস্ৰগুণ ভাল ছিল। র্তাহারা তাহ পারেন