পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७ १३ স্বামীজীর বাণী ও রচনা দুর্বলতাবশতই তাহাকে আমি অভিশাপকারী মনে করি। যে দরিদ্র ব্যক্তির তুমি উপকার কর, সেও তোমাকে উপকার করার স্বষোগ দিতেছে। ঈশ্বরই কৃপাবশতঃ তোমাকে ঐভাবে তাহার পূজা করিবার অধিকার দেন। পৃথিবীর ইতিহাস কয়েকজন আত্মবিশ্বাসী মানুষেরই ইতিহাস। সেই বিশ্বাসই ভিতরের দেবত্ব জাগ্রত করে। তুমি সবকিছু করিতে পারে। অনন্ত শক্তিকে বিকশিত করিতে যথোচিত যত্নবান হও না বলিয়াই বিফল হও । যখনই কোন ব্যক্তি বা জাতি আত্মবিশ্বাস হারায়, তখনই তাহার বিনাশ । মাছুষের অস্তনিহিত দেবত্বকে কোন সাম্প্রদায়িক ধর্মমত বা অভঙ্গ গালাগালির দ্বারা দাবানো যায় না। যেখানেই সভ্যতা, সেখানেই মুষ্টিমেয় ‘গ্ৰীক’ কথা বলে। ভুল-ত্রুটি কিছু না কিছু সর্বদাই থাকিবে। সেজন্য দুঃখ করিও না। গভীর অস্তদৃষ্টিসম্পন্ন হও । মনে করিও না, বাহ। হুইবার তাহ হইয়াছে । আহা ! যদি আরও ভাল হইত। মানুষের মধ্যে যদি দেবত্ব না থাকিত, তবে সব মানুষ এতদিনে প্রার্থনা এবং অনুশোচনা করিতে করিতে উন্মাদ হইয়া যাইত । কেহই পড়িয়া থাকিবে না, কেহই বিনষ্ট হইবে না। সকলেই পরিণামে পূর্ণতা লাভ করিবে। দিনরাত বলে, ‘ভ্রাতৃগণ, ওঠ, এস। তোমরাই পবিত্রতার অনন্ত সাগর ! দেবতা হইয়া যাও, ঈশ্বররুপে প্রকাশিত হও । সভ্যতা কাহীকে বলে ? ভিতরের দেবত্বকে অনুভব করাই সভ্যতা। যখনই সময় পাইবে, তখনই এই ভাবগুলি মনে মনে আবৃত্তি কর এবং মুক্তির আকাজক্ষা কর। এরূপ করিলেই সব হইবে । যাহা কিছু ঈশ্বর নয়, তাহা অস্বীকার কর। যাহা কিছু ঈশ্বরভাবান্বিত, তাহা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা কর। দিনরাত মনে মনে এ-কথা বলে । এভাবে ধীরে ধীরে অজ্ঞানের আবরণ পাতলা হইয়া যাইবে । ” আমি মন্থন্ত নই, দেবত নই। আমি স্ত্রী বা পুরুষ নই। আমার কোন সীমা নাই । আমি চিৎ-স্বরূপ—আমি সেই ব্ৰহ্ম । আমার ক্রোধ বা ঘৃণা নাই। আমার দুঃখ বা মুখ নাই। জন্ম বা মরণ আমার কখনও হয় নাই । কারণ আমি যে জ্ঞানস্বরূপ—আনন্দস্বরূপ । হে আমার আত্মা, আমি সেই, “সোহহং ।