পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

❖ ግ&» স্বামীজীর বাণী ও রচনা আর নিস্কৃতি নাই। চিরকাল যদি অনন্ত নিয়মের অধীন থাকিতে হয়, তবে তৃণখণ্ড হইতে তাহার পার্থক্য কোথায় ? আমরা বস্তুসম্পর্কশূন্ত নিয়মে বিশ্বাস করি না। আমরা বলি, মুক্তিই আমাদের কাম্য, এবং ভগবানই সেই মুক্তি। অন্তান্ত বস্তুতে যে আনন্দ, এখানেও সেই আনন্দ ; কিন্তু সসীম বস্তুতে খুজিলে মানুষ মুখের কণামাত্র লাভ করে। সাধক ভগবানে যে-আনন্দ লাভ করে, চোর চুরি করিয়৷ সেই একই আনন্দ পায় ; কিন্তু চোর দুঃখরাশির সহিত *gai, “ায়। ভগবানই প্রকৃত স্থখ । প্রেমই ভগবান, মুক্তিই ং ছু বন্ধন, তাহ ভগবান নয়। # * , " ৰ হইতেই মুক্তি আছে, কিন্তু উহা আবিষ্কার করিতে হইৰে। মানুষ ঙো মুক্তই, তবে প্রতি মুহূর্তে সে এ-কথা জুলিয়া যায়। জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে এই তত্ত্ব আবিষ্কার করাই প্রত্যেকটি মানুষের সমগ্র জীবন । কিন্তু জ্ঞানী ও অজ্ঞলোকের মধ্যে প্রভেদ এই যে, জ্ঞানী ইহা জ্ঞাতসারে আবিষ্কার করেন, আর অজ্ঞ লোক আবিষ্কার করে অজ্ঞাতসারে । প্রত্যেকেই—অণু হইতে নক্ষত্র পর্যন্ত—মুক্তির জন্য সংগ্রাম করিতেছে। অজ্ঞ ব্যক্তি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে মুক্তি পাইলে—ক্ষুধা ও তৃষ্ণার বন্ধন হইতে মুক্ত হইতে পারিলে সন্তুষ্ট হয় । কিন্তু জ্ঞানী অহুভব করেন, তাহাকে আরও দৃঢ়তর বন্ধন হইতে মুক্ত হইতে হইবে। তিনি রেড ইণ্ডিয়ানের স্বাধীন ভাবকে মোটেই স্বাধীনতা বলিয়া মনে করেন ন৷ ভারতীয় দার্শনিকদের মতে মুক্তিই লক্ষ্য। জ্ঞান লক্ষ্য হইতে পারে না, কারণ জ্ঞান একটি যৌগিক ভাব। জ্ঞান শক্তি ও মুক্তির মিশ্রিত ভাব, এবং মুক্তিই মানুষের একমাত্র কাম্য । ইহার জন্যই মানুষ চেষ্টা করিতেছে । শুধু শক্তি লাভ করিলেই জ্ঞান হয় না। দৃষ্টাস্তস্বরূপ : বিজ্ঞানী কয়েক মাইল দূর পর্যন্ত বৈদ্যুতিক তরঙ্গ প্রেরণ করিতে পারে ; কিন্তু প্রকৃতি ঐ তরঙ্গাঘাত অসীম দূরত্ব অবধি প্রেরণ করিতে পারে। তবে আমরা প্রকৃতির মূর্তি প্রতিষ্ঠা করিয়া তাহাকে সম্মানিত করি না কেন ? নিয়ম আমরা চাই না, আমরা চাই নিয়ম লঙ্ঘন করিবার সামর্থ্য। আমরা বিধিবহিভূত হইতে চাই। নিয়মের দ্বারা বদ্ধ হইলে মৃৎপিও হইয়া যাইবে। তুমি নিয়মের বাহিরে গিয়াছ কিনা—সেইটি প্রশ্ন নয় ; কিন্তু আমরা নিয়মের উর্ধের্ব—এই