পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कईक्षिांब ७ भूङि »ፃፃ চিত্তার উপরেই মানবজাতির সমগ্র ইতিহাস রচিত। দৃষ্টান্তস্বরূপ মনে কর, একজন বনে বাস করে এবং কখনও কোন শিক্ষা-দীক্ষা পায় নাই। সে একটি পাথরের টুকরাকে নীচে পড়িতে দেখিল—এ তো একটি স্বাভাবিক ঘটনা, সে কিন্তু ভাবে, ইহা মুক্তি ; সে মনে করে, পাথরের টুকরার আত্মা আছে, ইহার অন্তর্নিহিত ভাব মুক্তি। কিন্তু যখনই লে বুঝিতে পারে ষে, পাথরের টুকরাটি অবগুই নীচে পড়িবে, তখন ইহাকে স্বভাব বলে, অচেতন মন্ত্রবৎ কর্ম বলে। আমি এখন রাস্তায় বাহির হইতেও পারি, নাও পারি। ইহাতেই মাছুষ-হিসাবে আমার গৌরব। যদি আমি নিশ্চয় জানি যে, জামাকে এখন ওখানে যাইতেই হইবে, তখন ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়া আমি ৰন্ত্রে পরিণত হই । অনন্ত শক্তি সত্বেও প্রকৃতি একটি যন্ত্রমাত্র ; মুক্তিই সচেতন জীবনেৰ উপাদান। বেদান্ত বলেন, বনের মাহুয়ের ধারণাই ঠিক ; তাহার দৃষ্টি-সত্য, কিন্তু ব্যাখ্যা ভুল। সে এই প্রকৃতিকে মুক্ত বলিয়া মনে করে, নিয়মের দ্বার। শাসিত মনে করে না। মানব-জীবনের এইসব অভিজ্ঞতার পরই আমরা এই প্রকার চিত্তা করিতে শিখিব, কিন্তু আরও দার্শনিক অর্থে। উদাহরণস্বরূপ : আমি রাস্তায় বাহির হইতে চাই। ইচ্ছার প্রেরণা পাইলাম, তারপর , থামিয়া গেলাম ; ইচ্ছা হওয়া ও রাস্তায় বাহির হওয়ার মধ্যে যে-সময়টুকুর ব্যবধান, সেই সময়ে আমি সমভাবে কাজ করিতে থাকি। কর্মের সঙ্গতিকেই আমরা নিয়ম বা বিধি বলি। আমার কর্মের এই সঙ্গতি আতি ক্ষুদ্র ক্ষুন্ত্র অংশে বিভক্ত, সেজন্যই আমার কর্মগুলিকে আমি নিয়মাধীন বলি না। আমি স্বাধীনভাবে কাজ করি। পাচ মিনিট ভ্রমণ করি ; কিন্তু ঐ পাচ মিনিট সমভাবে ভ্রমণের পূর্বে ইচ্ছার ক্রিয় ছিল। এই ইচ্ছাই ভ্রমণের আবেগ দিয়াছিল । সুতরাং মানুষ বলে যে, সে স্বাধীন, কারণ তাহার সব কর্মই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করা যায় ; এবং যদিও ক্ষুত্র ক্ষুত্র অংশে সঙ্গতি বা মিল রহিয়াছে, অংশের বাহিরে সে-সঙ্গতি নাই। এই অসঙ্গতির অহঙ্কৃতির মধ্যেই মুক্তি বা স্বাধীনতার ভাব নিহিত। প্রকৃতিতে আমরা ८ ऽरुण नजडिद्र बुशखब थ७७जि cशथिएउ नोहे ; किरू श्रांनि ७ अख अवश्रहे স্বাধীন আবেগ। প্রথমেই মুক্তির প্রেরণা প্রদত্ত হইয়াছিল, উহাই বহিয়া চলয়াছে ; কিন্তু আমাদের কার্বকালের তুলনায় প্রকৃতির কার্যকাল দীর্ঘতর। দ।-নিক যুক্তিত্বারা বিশ্লেষণ করিয়া বুঝিতে পারি, আমরা স্বাধীন বা মুক্ত

  • – o *