পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামীজীর বাণী ও রচনা واستاوه র্যারা সাধক—সিদ্ধি লাভ করতে চান, তাদের তিনটি জিনিস দরকার। প্রথম : ইহলোকের ও পরলোকের সব ভোগ-বাসনা ছাড়তে হবে ; চাইতে হবে শুধু ভগবান আর সত্য। দ্বিতীয় : সত্য আর ভগবানকে লাভ করবার জন্ত তীব্র আকাজক্ষ চাই । যে-মানুষ জলে ডুবছে, সে যেমন বাতাসের জন্য ব্যাকুল হয়, ঠিক তেমনি ব্যাকুল হও ; সত্য ও ভগবানের জন্য ঐরকম অধীর হও । তৃতীয় ; ছ-টি শিক্ষা। ১ম—মনকে বহিমুর্থ হতে না দেওয়া । ২য়— মনকে অস্তমুখ ক’রে একটা ভাবে আবদ্ধ রাখা । ৩য়—প্রতিবাদ ন ক’রে সব জিনিস সহ করা। ৪র্থ—শুধু ঈশ্বরকে চাও, আর কিছুই নয়। আপাতমনোরম বিষয় আর যেন তোমাকে ঠকাতে না পারে। সব ত্যাগ করে শুধু ভগবানকেই চাও । ৫ম—উপস্থিত কোন একটা বিষয় নাও, তার শেষ পর্যস্ত বিচার কর, সমাধান না ক’রে ছেড়ে না। সময়ের হিসাব ক'রো না । আমাদের জীবন সত্যকে জানবার জন্য, ইন্দ্রিয়তৃপ্তির জন্য নয় ; ইন্দ্রিয়তৃপ্তি পশুর করুক, আমরা কখনও তাদের মতো ভোগ করতে পারি না । মানুষ মননশীল ; মৃত্যুকে সে যতদিন না জয় করে, যতদিন না আলোকের সন্ধান পায়, ততদিন সে সংগ্রাম করবেই। নিস্ফল বৃথা কথাবার্তায় সে নিজের শক্তিক্ষয় করবে না। সামাজিকতা ও লোকমতের পূজাই হচ্ছে পৌত্তলিকতা। আত্মা—লিঙ্গহীন, জাতিহীন, দেশহীন ও কালহীন । ৬ষ্ঠ–সর্বদা নিজের স্বরূপ চিন্তা কর। কুসংস্কারের পারে যাও। ক্রমাগত 'আমি ছোট, আমি ছোট”—এই ভেবে নিজেকে ছোট ক’রে ফেলো না , যতদিন না ব্রন্ধের সঙ্গে অভেদজ্ঞান ( অপরোক্ষামুভূতি ) হচ্ছে, ততদিন দিনরাত্র নিজেকে বলো— তোমার স্বরূপের কথা । এই সব কঠোর সাধননিষ্ঠা ব্যতীত কোন ফল-লাভ সম্ভব নয়। নিরপেক্ষ পরব্রহ্ম উপলব্ধি করতে পারি, কিন্তু আমরা কখনও তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারি না ; যে মুহূর্তে প্রকাশ করতে যাই, তখনি তাকে সীমাবদ্ধ ক’রে ফেলি ; ফলে অনস্ত হয়ে পড়েন সান্ত । ইন্দ্রিয়ের সীমা ছাড়িয়ে যেতে হবে, বুদ্ধিকেও অতিক্রম করতে হবে , মার এ শক্তি আমুদের আছে। প্রাণায়ামের প্রথম সাধন এক সপ্তাহ অভ্যাস ক'রে শিষ্ক গুরুকে জানা1ে |