পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামীজীর বাণী ও রচনা ” حجاډ জোর না দিয়ে কোমর, ঘাড় ও মাথা ঋজুভাবে রাখবে। মেরুদণ্ডের ভেতর দিয়েই সব ক্রিয়া হয়, কাজেই সেটিকে দুর্বল করা চলবে না। পায়ের আঙুল থেকে আরম্ভ করে ধীরে ধীরে শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ স্থির করবে। এই স্থির ভাবটি মনে মনে চিন্তা কর, দরকার মনে হয় তো প্রতি অঙ্গ স্পর্শ করবে । মাথায় না পৌছনো পর্যন্ত ধীরে ধীরে নীচের দিক থেকে শরীরের প্রতি অঙ্গ স্থির করতে করতে ওপরের দিকে আসবে, যেন একটি অঙ্গও বাদ না যায়। তারপর সমস্ত দেহটি স্থির ক’রে রাখবে । সত্য লাভ করবার জন্তে ভগবান তোমায় এই দেহ দিয়েছেন ; এই নৌকা আশ্রয় করেই ংসার-সমুদ্রের পরপারে চিরন্তন সত্যের রাজ্যে তোমায় যেতে হবে। এইটি করা হয়ে গেলে দুই নাসারন্ধ্র দিয়ে গভীরভাবে শ্বাস গ্রহণ করবে, তারপর দুই নাসা দিয়েই নিঃশ্বাস ত্যাগ করবে। তারপর যতক্ষণ বেশ স্বচ্ছন্দভাবে পারো, শ্বাস রুদ্ধ ক’রে থাকবে । এইরকম চারবার করা হয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নেবে এবং জ্ঞানালোকের জন্ত ভগবানের কাছে প্রার্থনা করবে । “যিনি এই বিশ্ব স্বষ্টি করেছেন, তার মহিমা আমি ধ্যান করি, তিনি আমাদের মনকে প্রবুদ্ধ করুন’—আসনে বসে দশ-পনর মিনিট এই মন্ত্রটির’ অর্থ চিন্তা কর । যে-সব উপলব্ধি বা দর্শনাদি হবে, গুরু ছাড়া আর কাকেও তা বলবে না। যতটা সম্ভব কম কথা বলবে । সং চিস্তা করবে , আমরা যা চিন্তা করি, তাই হয়ে যাই। সৎ চিন্তা মনের সকল মলিনতা দগ্ধ করতে সাহায্য করে । যোগী ছাড়া আর সকলেই যেন ক্রাতদাস। মুক্তিলাভের জন্য বন্ধনের পর বন্ধন কেটে ফেলতে হবে। অতীন্দ্রিয় সত্তাকে সকলেই জানতে পারে। ভগবান যদি সত্য হন, তবে র্তাকে প্রত্যক্ষভাবে উপলব্ধি করতে হবে ; আত্ম। যদি থাকে, তবে নিশ্চয় আমরা তাকে দর্শন ও অহুভব করতে পারবো।