পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ 33е স্বামীজীর বাণী ও রচনা ষে ইন্দ্রিয়ের অধীন সেই সাংসারিক, সেই ক্রীতদাস । e চিত্তবস্তুর বিভিন্ন বৃত্তি-তরঙ্গে ভেঙে পড়া সম্পূর্ণরূপে নিরোধ করতে পারলেই আমাদের দেহবোধ চলে যায়। এই দেহগুলি তৈরি করতে কোটি কোটি বৎসর ধরে আমাদের এতই কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে যে, সেই প্রচেষ্টার মধ্যে এই দেহপ্রাপ্তির আসল উদ্দেশু যে পূর্ণতা লাভ করা, তা আমরা ভুলে গেছি। আমরা ভাবি, এই দেহটাকে তৈরি করাই বুঝি আমাদের সমস্ত চেষ্টার মূল উদ্দেশ্য ; ইহাই মায়। এই মায় আমাদের ভাঙতে হবে, মূল লক্ষ্যের দিকে ফিরতে হবে ; আর উপলব্ধি করতে হবে—আমরা দেহ নই, দেহ আমাদের ভৃত্য। মনকে দেহ থেকে আলাদা ক’রে দেখতে শেখো, ভাবো-মন দেহ থেকে পৃথকৃ। এই জড় দেহটাকে আমরাই চেতন ও জীবন দিই, তারপর ভাবি এটা চেতন ও বাস্তব । আমরা এত দীর্ঘকাল ধরে এই পোশাকটা প’রে । আসছি যে, এখন ভুলে গেছি আমরা ও এই পোশাক অভিন্ন নই ; এবং ইচ্ছামত এই পোশাক ছেড়ে ফেলা যায়। যোগ এই বিষয়ে আমাদের সাহায্য করতে পারে। দেহ একটা যন্ত্রমাত্র, অামাদের দাস-প্ৰভু নয় ; মনঃশক্তিসমূহকে আয়ত্ত করাই যোগাভ্যাসেব মুখ্য ও মহান উদ্দেশু। দ্বিতীয় উদ্দেশু্য—যে-কোন বিষয়ে সমগ্রভাবে মনের শক্তিগুলি নিয়োগ করা। যদি বেশী কথা বলে, তাহ’লে যোগী হ’তে পারবে না। দ্বিতীয় পাঠ এই যোগের নাম অষ্টাঙ্গযোগ, কারণ এর প্রধান অঙ্গ আটটি । যথা— প্রথম—ষম । যোগের এই অঙ্গটি সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এইটি সাবা জীবনকে নিয়ন্ত্রিত করবে। এ আবার পাচ ভাগে বিভক্ত : (১) কায়মনোবাক্যে হিংসা না করা । (২) কায় ক্য লোভ না করা । (•), tক্যে পবিত্রতা রক্ষা করা।