পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরল রাজযোগ 8 ο δ সৎ চিন্তাগুলি অমুসরণ কর ; তাদের সঙ্গে সঙ্গে স্বাও) যখন তারা স্তিমিত হয়ে বাবে, তখন সর্বশক্তিমান ভগবানের শ্ৰীচরণ দেখতে পাৰে। এই হচ্ছে অতিচেতন অবস্থা। ভাব যখন স্তিমিত হয়ে আসবে, তখন তার অনুসরণ কর, আর সঙ্গে সঙ্গে তুমিও বিলীন হয়ে যাও। দু্যতি হচ্ছে অস্তর্জ্যোতির প্রতীক, যোগী তা দেখতে পান। কখন কখন এমন একখানি মুখ আমরা দেখতে পাই, তা যেন জ্যোতি দিয়ে ঘেরা, তার মধ্যে আমরা চরিত্র পাঠ ক’রে নিভুল সিদ্ধান্ত করতে পারি। ভাবচক্ষে হয়তো ইষ্টমূতি আমাদের সামনে আসতে পারেন, সহজেই তাকে প্রতীকরূপে গ্রহণ করে আমরা মনকে সম্পূর্ণরূপে একাগ্র করতে পারি। যদিও আমরা সকল ইন্দ্রিয় দ্বারাই কল্পনা করতে পারি, তথাপি চোখ দিয়েই বেশীর ভাগ কল্পনা করি। এমন কি, কল্পনা পর্যন্ত অর্ধেক জড়। আর এক ভাবে বলতে গেলে বলা যায় যে, মানসিক চিত্র ছাড়া চিন্তাই । করা যায় না। পশুরা চিস্তা করে ব’লে বোধ হয়, কিন্তু তাদের যখন ভাষা নেই, তখন মনে হয়—ভাব ও প্রতীকের মধ্যে কোন বিশেষ অচ্ছেষ্ঠ . সম্বন্ধ নেই। ষোগের সময় কল্পনাকে ধ’রে রাখবার চেষ্টা করবে, কিন্তু সাবধান, তা যেন পবিত্র হয়। আমাদের প্রত্যেকেরই কল্পনাশক্তির বৈশিষ্ট্য আছে ; তোমার পক্ষে যে পথ খুব স্বাভাবিক, তাই অনুসরণ কর ; সেটাই তোমার পক্ষে সব চেয়ে সোজা হবে । পূর্ব পূর্ব সব জন্মের কর্মের শেষ ফল আমাদের এই বর্তমান জীবন। বেীদ্ধের বলেন, ‘এক প্রদীপ থেকে আর এক প্রদীপ জলে ওঠে। প্রদীপ আলাদা, কিন্তু আলো সেই একই। সর্বদা প্রফুল্প ও সাহসী থাকবে, রোজ স্নান করবে ; ধৈর্য, পবিত্রতা, অধ্যবসায়—এই সব থাকলে তবে ঠিক ঠিক যোগী হতে পারবে। কখনও তাড়াতাড়ি ক’রে না। অলৌকিক শক্তি এলে মনে করবে ওগুলি বিপথ ; তারা যেন তোমায় লুব্ধ করে আসল পথ থেকে সরিয়ে নিয়ে না যায়। তাদের দূরে সরিয়ে দিয়ে তোমার ষে একমাত্র লক্ষ্য-ভগবান, তাকেই ধ't থাকবে।)কেবল সেই চিরন্তনকে খোজ, যার সন্ধান পেলে , আমাদের