পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

》8 স্বামীজীর বাণী ও রচনা ব্যক্তিদের মনোভাব এই ষে, ধর্ম, দর্শন ও পরমপুরুষের অনুসন্ধান—সবই নিষ্ফল । অপর দিকে যাহারা অর্ধশিক্ষিত, তাহীদের মনের ভাব এইরূপ বোধ হয় যে, ধর্ম-দৰ্শনাদির বাস্তবিক কোন ভিত্তি নাই, তবে ঐগুলির এই মাত্র উপযোগিতা যে, এগুলি জগতের মঙ্গল-সাধনের বলিষ্ঠ প্রেরণাশক্তিযদি মানুষ ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, সে সৎ ও নীতিপরায়ণ হইতে পারে এবং কর্তব্যনিষ্ঠ নাগরিক হয়। যাহাঁদের এইরূপ ভাব, তাহাদিগকে দোষ দিতে পারি না ; কারণ তাহার। ধর্ম সম্বন্ধে যাহা কিছু শিক্ষা পায়, তাহ। অসংলগ্ন অন্তঃসারশূন্ত প্ৰলাপ-বাক্যের মতো অনন্ত শব্দসমষ্টিতে বিশ্বাস মাত্র । তাহাদিগকে শব্দের উপরে বিশ্বাস করিয়া থাকিতে বলা হয় । তাহারা কি এরূপ বিশ্বাস করিতে পারে ? যদি পরিত, তাহা হইলে মানবপ্রকৃতির প্রতি আমার বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা থাকিত না । মানুষ সত্য চায়, স্বয়ং সত্য অকুভব করিতে চায় ; সত্যকে ধারণা করিতে, সত্যকে সাক্ষাৎ করিতে, অস্তরের অন্তরে অনুভব করিতে চায়। ‘কেবল তখনই সকল সন্দেহ চলিয়া যায়, সব তমোজাল ছিন্ন-ভিন্ন হইয়া ষায়, সকল বক্রতা সরল হইয়া যায়’।’ বেদ এইরূপ ঘোষণা করেন— ‘হে অমৃতের পুত্ৰগণ, হে দিব্যধাম-নিবাসিগণ, শ্রবণ কর—আমি এই অজ্ঞানান্ধকার হইতে আলোকে যাইবার পথ পাইয়াছি, যিনি সকল তমসার থারে, তাহাকে জানিতে পারিলেই সেখানে যাওয়া যায়—মুক্তির আর কোন উপায় নাই।২ রাজযোগ-বিজ্ঞানের লক্ষ্য এই সত্য লাভ করিবার প্রকৃত কার্যকর ও সাধনোপযোগী বৈজ্ঞানিক প্রণালী মানব-সমক্ষে স্থাপন করা। প্রথমতঃ প্রত্যেক বিজ্ঞানেরই নিজস্ব পর্যবেক্ষণ-প্রণালী আছে। তুমি যদি জ্যোতির্বিদ হইতে ইচ্ছা কর, আর বসিয়া বসিয়া কেবল 'জ্যোতিষ জ্যোতিষ বলিয়৷ চীৎকার কর, কখনই তুমি জ্যোতিষশাস্ত্রে অধিকারী হইবে না। রসায়ন TAMSTMSAAAA ১ ভিল্লতে হৃদয়গ্রস্থিশিষ্ট্যস্তে সর্বসংশয়াঃ । ক্ষীয়ন্তে চান্ত কর্মাণি তস্মিন বৃষ্টি পরাবরে। মুণ্ডক উপ. ২২৮ ২ শৃশ্বস্তু বিশ্বে অমৃতস্ত পুত্র আ যে ধামানি দিব্যানি তয় থেঃ উঃ, ২le বেদাহমেতং পুরুষং মহান্তম আদিত্যবর্ণং তমস: পরস্তাং । তমেৰ বিদিত্বাধতিস্বভূমেতি নান্ত পন্থী বিস্ততেহরনায়। বেঃ উঃ, ৩৮