পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

අාණ් 象8幽 এই আরোগ্য-প্রণালীকে যত সহজ ভাবে—তত সহজ নয়। অধিকাংশ স্থলে দেখা যাইবে যে, আয়োগ্যকারী মানব-দেহের স্বাভাবিক স্বাস্থতার স্থযোগ লইতেছেন। জগতে এমন কোন রোগ নাই যে, সেই রোগে আক্রান্ত হইয়া সব লোকই মারা পড়ে। এমন কি, বিষ্ণুচিকা-মহামারীতেও যদি কিছুদিন শতকরা ৬ জন মরে, তবে দেখা যায়, ক্রমশ: এই মৃত্যুর হার কমিয়া শতকরা ৩• হয়, পরে ২-তে দাড়ায়, অবশিষ্ট সকলে রোগমুক্ত হয়। এলোপ্যাথ চিকিৎসক আসিলেন, বিস্তুচিকা-রোগগ্রস্ত ব্যক্তিগণকে চিকিৎসা করিলেন, তাহার ঔষধ দিলেন । হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক আসিয়া র্তাহার ঔষধ দিলেন, হয়তো এলোপ্যাথ অপেক্ষা অধিকসংখ্যক রোগী আরোগ্য করিলেন, কারণ হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক রোগীর শরীরে কোন গোলযোগ না বাধাইয়া প্রকৃতিকে নিজের ভাবে কাজ করিতে দেন । বিশ্বাসকলে আরোগ্যকারী আরও রোগী আরোগ্য করিবেন, কারণ তিনি নিজের ইচ্ছাশক্তি প্রয়োগ করিয়া বিশ্বাসকলে রোগীর সুপ্ত প্রাণশক্তিকে জাগাইয়া দেন । কিন্তু বিশ্বাসবলে রোগ-আরোগ্যকারীদের সর্বদাই একটি ভুল হইয়৷ থাকে—র্তাহার। মনে করেন, সাক্ষাৎভাবে বিশ্বাসই মানুষকে রোগমুক্ত করে। বাস্তবিকপক্ষে কেবল বিশ্বাসই ষে একমাত্র কারণ, তাহা বলা যায় না। এমন সব রোগ আছে, যেগুলির সর্বাপেক্ষা খারাপ লক্ষণ এই—রোগী নিজে আদেী মনে করে না যে, তাহার সেই রোগ হইয়াছে। রোগীর নিজের রোগহীনতা সম্বন্ধে অতীব বিশ্বাসই তাহার রোগের একটি প্রধান লক্ষণ, সচরাচর ইহা আশু মৃত্যুরই স্বচনা করে। এ-সকল স্থলে কেবল বিশ্বাসেই রোগ আরোগ্য হয়—এ তত্ত্ব খাটে না। যদি বিশ্বাসেই রোগ অীরোগ্য হইত, তাহা হইলে এই-সকল রোগীও আরোগ্যলাভ করিত ; প্রাণের শক্তিত্তেই রোগ নিরাময় হইয়া থাকে। যে পবিত্ৰাত্মা পুরুষ নিজ প্রাণ নিয়ন্ত্ৰণ করিয়াছেন, তিনি ইহাকে এক নির্দিষ্ট কম্পনের অবস্থায় লইয়া গিয়া অপরের মধ্যে সেই প্রকার কম্পন সঞ্চারিত ও জাগ্রত করিতে পারেন। প্রতিদিনের ঘটনা হইতেই এই বিষয়ের প্রমাণ পাইতে পারে। আমি বক্তৃত। জিতেছি, বক্তৃতা দিবার সময় কি করিতেছি ? আমি আমার মনকে একপ্রকার কম্পনের অবস্থায় জানিতেছি ; এবং এই-বিষয়ে আমি