পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38& श्रांशैौऔद्र शांगैौ ७ ब्रष्क्रबाँ शङहे कृङकांई छ्हेरु, ८डांशद्रां ङङहे यांबांद्र बांकj बांब्रां ॐछांविड एहे८रु । তোমরা সকলেই জানো, বক্তৃতা দিতে দিতে আমি যেদিন খুব মাতিয়া উঠি, সেদিন আমার বক্তৃতা তোমাদের বেশী ভাল লাগে, আর আমার উৎসাহ অল্প হইলে আমার বক্তৃতা শুনিতে তোমাদেরও তত ভাল লাগে না। জগৎ-আলোড়নকারী তীব্র-ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন মহাপুরুষগণ নিজেদের প্রাণ এক অতি উচ্চ কম্পনের অবস্থায় উন্নীত করিতে পারেন ; প্রাণ এত অধিক শক্তিসম্পন্ন হয় যে, উহা অন্তকে মুহূৰ্তমধ্যে স্পর্শ করে, সহস্ৰ সহস্ৰ লোক র্তাহীদের দিকে আকৃষ্ট হয় এবং জগতের অর্ধেক লোক র্তাহীদের ভাবাকুসারে ভাবিত হইয়া থাকে। জগতের মহাপুরুষগণ সকলেই প্রাণ জয় করিয়াছিলেন । এই প্রাণসংযমের বলে তাহারা প্রবল-ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন হইয়াছিলেন। র্তাহীদের প্রাণকে উচ্চতম কম্পনের অবস্থায় উন্নীত করিয়াই তাহারা জগতের উপর প্রভাব বিস্তার করিবার শক্তি লাভ করেন । জগতে যতপ্রকার শক্তির বিকাশ দেখা যায়, সবই প্রাণের সংযম হইতে উৎপন্ন। মাতুষ ইহার গোপন তথ্য না জানিতে পারে, কিন্তু ইহাই একমাত্র ব্যাখ্যা । তোমার শরীরে এই প্রাণশক্তির সরবরাহ কখন এক দিকে বেশী, অন্ত দিকে কম পড়িয়া যায়—সাম্য নষ্ট হইয়া যায়, প্রাণের অসামঞ্জস্তেই রোগের উৎপত্তি । অতিরিক্ত প্রাণটুকু সরাইয়া যেখানে প্রাণের অভাব হইয়াছে, সেখানকার অভাব পূরণ করিতে পারিলেই রোগ আরোগ্য হয়। কোথায় অধিক, কোথায় বা অল্প প্রাণশক্তি আছে, ইহা জানাও প্রাণায়ামের অঙ্গ। অনুভবশক্তি এত সুহ্ম হইবে যে, মন বুঝিতে পারিবে—পায়ের আঙ্গুলে বা হাতের আঙ্গুলে যতটুকু প্রাণ অবিশ্বক তাহা নাই এবং ঐ প্রাণের অভাব পূরণ করিবার শক্তিও মনের থাকিবে। প্রাণায়ামের এইরূপ নানা অঙ্গ আছে । ঐগুলি ধীরে ধীরে ও ক্রমশঃ শিক্ষা করিতে হইবে। ক্রমে দেখিতে পাওয়া যাইবে যে, বিভিন্নরূপে প্রকাশিত প্রাণকে সংযত করা এবং চালনা করাই রাজযোগের একমাত্র লক্ষ্য । যখন কেহ নিজের সব শক্তিকে সংহত করিয়াছে, তখন সে নিজ দেহস্থ প্রাণকেই আয়ত্ত করিয়াছে । যখন কেহ ধ্যান করে, সে প্রাণকেই সংযত করিতেছে, বুঝিতে হইবে। মহাসমূত্রে পর্বততুল্য বৃহৎ তরঙ্গসমূহ, ক্ষুত্র ক্ষুদ্র তরঙ্গ, আরও ক্ষুদ্রত তরঙ্গসমূহ, আবার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বুদ্ধ ও রহিয়াছে। কিন্তু এই সকলের পশ্চাতে