পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•ोक्म अक्ष]ोच्न অধ্যাত্ম প্রাণের সংযম এখন আমাদের প্রাণায়ামের বিভিন্ন ক্রিয়াগুলি সম্বন্ধে আলোচনা করিতে হইবে। আমরা পূর্বেই দেখিয়াছি, যোগিগণের মতে সাধনের প্রথম অঙ্গই ফুসফুসের গতি নিয়ন্ত্রিত করা । আমাদের উদ্বেগু—শরীরের মধ্যে যে-সকল সুন্ন সূক্ষ্ম গতি আছে, সেগুলি অনুভব করা। আমাদের মন বহিমুখ হইয়া পড়িয়াছে, উহা ভিতরের সুন্ন স্বল্প গতিগুলিকে মোটেই ধরিতে পারে না। অনুভব করিতে পারিলেই আমরা সেগুলি জয় করিতে পারিব । এই স্বায়বীয় শক্তি-প্রবাহগুলি শরীরের সর্বত্র চলিতেছে ; প্রতি পেশীতে উহার প্রাণ ও জীবনীশক্তি সঞ্চার করিতেছে ; কিন্তু আমরা সেই প্রবাহগুলি অনুভব করিতে পারিনা। কাগীরা বলেন, চেষ্টা করিলে আমরা ঐগুলি অনুভব করিতে শিখিতে পারি। কিভাবে ? প্রথমে ফুসফুসের গতি নিয়ক্তি করিবার চেষ্টা করিতে হুইৰে । কিছুকাল ইহা করিতে পারিলেই আমরা সূক্ষ্মতর গতিগুলিও নিয়ন্ত্রিত করিতে পারিব । (এখন প্রাণায়ামের সাধন ও ক্রিয়াগুলির কথা আলোচনা করা যাক। সরলভাবে উপবেশন করিতে হইবে, শরীরকে ঠিক সোজাভাবে রাখিতে হুইবে । স্বযুম্নাকাগুটি যদিও মেরুদণ্ডের অভ্যন্তরে অবস্থিত তথাপি মেরুদণ্ডে সংলগ্ন নয়। বক্র হইয়া বলিলে স্বযুমাপথ বাধাপ্রাপ্ত হয় অতএব দেখিতে হইবে, উহা যেন স্বচ্ছন্দভাবে থাকে। বক্র হইয়া বসিয়া ধ্যান করিবার চেষ্টা করিলে নিজেরই ক্ষতি করা হয়। শরীরের তিনটি ভাগ—বক্ষোদেশ, গ্রীব ও মন্তক সবদ এক রেখায় ঠিক সরলভাবে রাখিতে হইবে। দেখিবে, অতি অল্প অভ্যাসে উহ স্বাস-প্রশ্বাসের ন্যায় সহজ হইয়া যাইবে । তারপর স্নায়ুগুলি বশীভূত করিবার চেষ্টা করিতে হইবে। পূর্বেই বলিয়াছি, যে স্বায়ুকেন্দ্র শ্বাসপ্রশ্বাস-ষন্ত্রের কার্য নিয়মিত করে, অপরাপর স্বায়ুগুলির উপরও তাহার কতকটা প্রভাব আছে । এই জন্তই শ্বাসপ্রশ্বাস তালে তালে (rhythmical) হওয়া আবশুক । আমরা সচরাচর যেভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহণ করি, তাহা শ্বাসপ্রশ্বাস নামের যোগ্যই হইতে পারে না, উহা এত অনিয়মিত। আবার স্ত্রীপুরুষের খালপ্রশ্বাসের মধ্যেও একটু স্বাভাবিক প্রভেদ আছে।