পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WOS • चांगैौद्यौब्र बांधैौ ७ ब्रक्रमां আবার সেই ধ্যানেই যখন ঐ ভূতসমূহকে দেশ ও কাল হইতে পৃথক করিয়া ঐগুলির স্বরূপ চিন্তা করা যায়, তখন সেই সমাধিকে নির্বিতর্ক সমাধি বলে। যখন ধ্যান আর এক সোপান অগ্রসর হয় এবং তন্মাত্রগুলিকে ধ্যানের বিষয় করিয়া উহাদিগকে দেশকালের অন্তর্গত বলিয়া চিন্তা কর। যায়, তখন ঐ ধ্যানকে ‘সবিচার সমাধি’ বলে। আবার ঐ সমাধিতে যখন ঐ সূক্ষ্মভূতগুলিকে দেশকাল-বিবর্জিত উহাদের স্বরূপে চিন্তা করা যায়, তখন তাহাকে ‘নির্বিচার সমাধি’ বলে। পরবর্তী সোপানে সূক্ষ্ম ও স্কুল উভয় প্রকার ভূতের চিন্তাই পরিত্যাগ করিয়া অন্তঃকরণকে—মনকেই ধ্যানের বিষয় করিতে হয়। যখন অন্তঃকরণকে রজস্তমোগুণ হইতে পৃথক করিয়া চিন্তা করা হয়, তখন উহাকে সানন্দ সমাধি’ বলে। যখন মনই ধ্যানের বিষয় হয়, যখন ঐ সমাধি একাগ্র ও পরিপক্ক হইয়া স্বায়, যখন স্কুল স্বল্প সমুদয় ভূতের চিন্তা পরিত্যক্ত হইয়া মনের স্বরূপাবস্থাই ধোয় বিষয় হইয়া দাড়ায়, অন্যান্ত বিষয় হইতে পৃথকৃত্বীকৃত হইয়া কেবল সাত্ত্বিক অহঙ্কার মাত্র বর্তমান থাকে, তখন উহাকে ‘অস্মিতা-সমাধি’ বলে। এই অবস্থাতেও সম্পূর্ণরূপে মনের অতীত হওয়া যায় না। যে ব্যক্তি ঐ অবস্থা লাভ করিয়াছে, তাহাকে বেদে 'বিদেহ বলিয়া থাকে। তিনি নিজেকে স্থূলদেহশূন্তরূপে চিন্তা করিতে পারেন বটে, কিন্তু র্তাহার নিজেকে সূক্ষ্মশরীরধারী বলিয়া চিপ্ত করিতে হইবেই। র্যাহার। এই অবস্থায় থাকিয়৷ সেই পরমপদ লাভ না করিয়া প্রকৃতিতে লয়-প্রাপ্ত হন, তাহাদিগকে ‘প্রকৃতিলীন’ বলে ; কিন্তু র্যাহার। ইহাতেও সন্তুষ্ট নন, র্তাহারাই চরমলক্ষ্য মুক্তি লাভ করেন। বিরাম-প্রত্যয়াভ্যাসপূর্ব সংস্কারশেষোহন্তঃ ॥ ১৮ ॥ —অন্য প্রকার সমাধিতে সর্বদা সমুদয় মানসিক ক্রিয়ার বিরাম অভ্যাস করা হয়, কেবল চিত্তের গৃঢ় সংস্কার-মাত্র অবশিষ্ট থাকে। ইহাই পূর্ণ জ্ঞানাতীত অসম্প্রজ্ঞাত সমাধি’ ; ঐ সমাধি আমাদিগকে মুক্তি দিতে পারে। প্রথমে যে সমাধির কথা বলা হইয়াছে, তাহা অামাদিগকে মুক্তি দিতে পারে না—আত্মাকে মুক্ত করিতে পারে না। একজন ব্যক্তি সমুদয় শক্তি লাভ করিতে পারে, কিন্তু তাছার পুনরায় পতন হইবে। যতক্ষণ ন। জাঙ্কা প্রকৃতির অতীত অবস্থায় ( সম্প্রজ্ঞাত সমাধিরও বাহিরে ) বাইতে