পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ֆեր স্বামীজীর বাণী ও রচনা বেশ, তাহা হইলে বুঝা গেল যে, মানুষের আত্মা অনাদি অমর পূর্ণ ও অনন্ত এবং কেন্দ্র-পরিবর্তন বা দেহ হইতে দেহান্তরে গমনের মামই মৃত্যু। বর্তমান অবস্থা পূর্বাহুষ্ঠিত কর্ম দ্বারা এবং বর্তমান কর্ম দ্বারা ভবিষ্কং নিরূপিত হয়। আত্মা জন্ম হইতে জন্মের পথে—মৃত্যু হইতে মৃত্যুর দিকে কখন বিকশিত হইয়া, কখন সঙ্কুচিত হইয়া অগ্রসর হইতেছেন। কিন্তু এখানে আর একটি প্রশ্ন ওঠে : প্রচণ্ড বায়ুমুখে ক্ষুত্র তরণী যেমন একবার ফেনময় তরঙ্গের শীর্ষে উঠিতেছে পরক্ষণেই মুখবাদানকারী তরঙ্গ-গহ্বরে নিক্ষিপ্ত হইতেছে। সেইরূপ আত্মাও কি সদসৎ কর্মের একান্ত বশবর্তী হইয়া ক্রমাগত একবার উঠিতেছে ও একবার পড়িতেছে ? আত্মা কি নিত্যপ্রবাহিত প্রচণ্ড গর্জনশীল অদম্য কার্যকারণ-স্রোতে দুর্বল অসহায অবস্থায় ক্রমাগত ইতস্ততঃ বিতাড়িত হইতেছে ? আত্মা কি একটি ক্ষুদ্র কীটের মতে কার্যকারণ-চক্রের নিম্নে স্থাপিত ? আর ঐ চক্ৰ সন্মুখে ৰাহ পাইতেছে, তাহাই চূর্ণ করিয়া ক্রমাগত বিঘূর্ণিত হইতেছে—বিধবার আশ্রয় দিকে চাহিতেছে না, পিতৃমাতৃহীন বালকের ক্ৰন্দনও শুনিতেছে না ? ইহা ভাবিলে মন দমিয়া যায়, কিন্তু প্রাকৃতিক নিয়মই এই। তবে কি ! কোন আশা নাই ? পরিত্রাণের কি কোন পথ নাই ? মানবের হতাশ হৃদয়ের অস্তস্তল হইতে এইরূপ ক্ৰন্দনধ্বনি উঠিতে লাগিল, করুণাময়ের সিংহাসনসমীপে উহা উপনীত হইল, সেখান হইতে আশা ও সানার বাণী মামিয়া; আসিয়া এক বৈদিক ঋষির হৃদয় উদ্বুদ্ধ করিল। বিশ্বসমক্ষে দণ্ডায়মান হইয়া ঋষি তারস্বরে জগতে এই আনন্দ-সমাচার ঘোষণা করিলেন, ‘শোন শোন অমৃতের পুত্ৰগণ, শোন দিব্যলোকের অধিবাসিগণ, আমি সেই পুরাতন মহান পুরুষকে জানিয়াছি। অাদিত্যের ন্যায় তাহার বর্ণ, তিনি সকল অজ্ঞান-অন্ধকারের পারে ; তাহাকে জানিলেই মৃত্যুকে অতিক্রম কর যায়, আর অন্য পথ নাই।’ 'অমৃতের পুত্র কি মধুর ও আশার নাম ! হে ভ্রাতৃগণ, এই মধুর নামে আমি তোমাদের সম্বোধন করিতে চাই । তোমরা অমৃতের অধিকারী। হিন্দুগণ তোমাদিগকে পাপী বলিতে চায় না। তোমরা ঈশ্বরের সস্তান s cश्डोश्व. ७°., २।८