পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vጋፃ: স্বামীজীর বাণী ও রচনা প্রাণের উপর শক্তিলাভ করিবার সহজতম উপায়রূপে আমরা প্রথমে শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রিত করিতে আরম্ভ করি। বাহাভ্যন্তরস্তম্ভবৃত্তিঃ দেশকালসংখ্যাভিঃ পরিদৃষ্টে দীর্ঘসূক্ষঃ। ৫• । —বাহাবৃত্তি, আভ্যস্তরবৃত্তি ও স্তম্ভবৃত্তি ভেদে এই প্রাণায়াম ত্ৰিবিধ ; দেশ, কাল, সংখ্যার দ্বারা নিয়মিত এবং দীর্ঘ বা সূক্ষ্ম হওযাতে উহাদেরও আবার নানাপ্রকার ভেদ আছে । এই প্রাণায়াম তিন প্রকার ক্রিয়ায় বিভক্ত। প্রথম—যখন আমরা শ্বাসকে অভ্যস্তরে অাকর্ষণ করি ; দ্বিতীয়—যখন আমরা উহ। বাহিরে নিক্ষেপ করি ; তৃতীয়—যখন শ্বাস ফুসফুসের মধ্যেই ধৃত হয় বা বাহির হইতে শ্বাসগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। উহারা আবার দেশ, কাল ও সংখ্যা অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন আকার ধারণ করে। দেশ’ অর্থে—প্রাণকে শরীরের কোন অংশবিশেষে আবদ্ধ রাখা । ‘সময় অর্থে-প্রাণ কোন স্থানে কতক্ষণ রাখিতে হইবে, এবং ‘সংখ্যা অর্থে—কতবার ঐরুপ করিতে হইবে, তাহা বুঝিতে হইবে । এইজন্য কোথায়, কতক্ষণ ও কতবার রেচকাদি করিতে হইবে, ইত্যাদি কথিত হইয়া থাকে। এই প্রাণায়ামের ফল উদঘাত’ অর্থাং কুণ্ডলিনীর জাগরণ। বাহ্যাভ্যন্তরবিষয়ক্ষেপী চতুর্থ ॥ ৫১ ৷ —চতুর্থ প্রকার প্রণায়ামে বাহ বা আন্তর বিষয় চিন্তা দ্বারা প্রাণ নিরুদ্ধ করা হয়। ইহা প্রকার প্রাণায়াম। ইহাতে পূর্বোক্ত চিস্তাসহ দীর্ঘকাল অভ্যাসেল দ্বার স্বাভাবিক কুম্ভক ( স্তম্ভবৃত্তি) হইয়া থাকে। অন্য প্রাণায়ামগুলিতে চিস্তার সংস্রব নাই । ততঃ ক্ষীয়তে প্রকাশবিরণম্ ॥ ৫২ ৷ —তাহা হইতেই চিত্তের প্রকাশের আবরণ ক্ষয় হইয়া যায়। চিত্তে স্বভাবতই সমুদয় জ্ঞান রহিয়াছে, উহা সত্বপদার্থ দ্বারা নির্মিত, কিন্তু উহ। রজঃ ও তমোম্বারা আবৃত রহিয়াছে। প্রাণায়াম দ্বারা চিত্তের এই আবরণ দূরীভূত হয়।