পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৪০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামীজীর বাণী ও রচনা טאר סא নির্বিকল্পক অর্থাৎ পরিণামশুম্ভ হইতে পারে না, ঐ ত্ৰিবিধ সাধন আয়ত্ত হইলেও দেহধারণের বীজ থাকিয়া যাইবে । ৰোগীদের ভাষায় সেই বীজগুলি ‘ভর্জিত’ হইয়া গেলেই তাহদের নূতন অঙ্কুর উৎপন্ন করিবার শক্তি নষ্ট হইয়৷ যায়। বিভূতিসমূহ বীজগুলি ভর্জিত করিতে পারে না। ভদপি বহিরঙ্গং নিবজিস্ত ॥ ৮ ॥ " —কিন্তু এই “সংযম-ও ( ধারণা ধ্যান সমাধি একত্র ) নিবাঁজ সমাধির পক্ষে বহিরঙ্গস্বরূপ । এই কারণে নিৰীজ সমাধির সহিত তুলনা করিলে এইগুলিকেও বহিরঙ্গ বলিতে হইবে। আমরা এখনও প্রকৃত সর্বোচ্চ সমাধি-অবস্থা লাভ না করিয়া একটি নিম্নতর ভূমিতেই আছি ; সেই অবস্থায় এই পরিদৃশুমান জগৎ এখনও আছে, বিভূতি বা সিদ্ধিসকল এই জগতেরই অন্তর্গত। ব্যুত্থান-নিরোধসংস্করয়োরভিভবপ্রাদুর্ভাবে নিরোধক্ষণচিত্তান্বয়ো নিরোধপরিণাম: ॥ ৯ ॥ —যখন ব্যুত্থান অর্থাৎ মনশ্চাঞ্চল্যের অভিভব ( নাশ ) ও নিরোধসংস্কারের আবির্ভাব হয়, তখন চিত্ত নিরোধনামক অবসরের অনুগত হয়, উহাকে নিরোধ-পরিণাম বলে । ইহার অর্থ এই যে, সমাধির প্রথম অবস্থায় মনের সমুদয় বৃত্তি নিরুদ্ধ হয় বটে, কিন্তু সম্পূর্ণরূপে নয় ; কারণ তাহা হইলে কোন প্রকার বৃত্তিই থাকিত না। মনে কর, মনে এমন এক প্রকার বৃত্তি উদিত হইয়াছে, যাহা মনকে ইন্দ্রিয়ের দিকে লইয়া যাইতেছে, আর যোগী ঐ বৃত্তিকে সংযত করিবার চেষ্টা করিতেছেন ; এ অবস্থায় ঐ সংযমচেষ্টাটিকেও একটি বৃত্তি বলিতে হইবে । একটি তরঙ্গ আর একটি তরঙ্গ দ্বারা নিবারিত হইল, সুতরাং উহা সর্ব তরঙ্গের নিবৃত্তিরূপ সমাধি নয়, কারণ ঐ সংঘমটিও একটি তরঙ্গ। তবে যে অবস্থায় মনে তরঙ্গের পর তরঙ্গ আসিতে থাকে, তদপেক্ষ এই নিম্নতর সমাধি সেই উচ্চতর সমাধির খুবই নিকটবর্তী । তস্ত প্রশাস্তবাহিতা সংস্কারাৎ ॥ ১০ ॥ —অভ্যাসের দ্বারা ইহার স্থিরতা হয়।