পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতি-পদ Qፃፃ দিনের পর দিন অভ্যাস করিলে মনঃসংযমের এই নিরস্তরচেষ্টা প্রবাহ স্থির ইয়। ষায় এবং মন সর্বদা একাগ্র হুইবার শক্তি লাভ করে। সর্বাখতৈকাগ্রতয়োঃ ক্ষয়োদয়ে চিত্তস্ত সমাধিপরিণামঃ ॥১১ ॥ —মনে সর্বপ্রকার বস্তু গ্রহণ করা ও এক বিষয়ে মনকে একাগ্র করা, এই দুইটির যখন যথাক্রমে ক্ষয় ও উদয় হয়, তাহাকে চিত্তের মাধি-পরিণাম বলে । মন সর্বদাই নানাপ্রকার বিষয় গ্রহণ করিতেছে, সর্বপ্রকার বস্তুতেই ইতেছে—ইহা নিম্ন অবস্থা। ইহা অপেক্ষ মনের একটি উচ্চতর অবস্থা মাছে, সেখানে মন একটিমাত্র বস্তু গ্রহণ করে এবং আর সকল বস্তু ত্যাগ করে। এই এক বস্তু গ্রহণ করার ফল সমাধি । শান্তোদিতে তুল্যপ্রত্যয়ে চিত্তস্তৈকাগ্রতাপরিণাম ॥১২ ॥ —যখন মন শান্ত ও উদিত অর্থাৎ অতীত ও বর্তমান উভয় অবস্থাতেই তুল্যপ্রত্যয় হয়, অর্থাৎ উভয়কেই এক সময়ে গ্রহণ করিতে পারে, তাহাকে চিত্তের একাগ্রতা-পরিণাম বলে । কি করিয়া জানা যাইবে—মন একাগ্র হইয়াছে ? মন একাগ্র হইলে ময়ের কোন জ্ঞান থাকিবে না। অজ্ঞাতসারে যতই সময় অতিবাহিত হয়, ঝিতে হইবে, আমরা ততই একাগ্র হইতেছি । সাধারণতঃ দেখিতে পাই, খন আমরা খুব আগ্রহের সহিত কোন পুস্তকপাঠে মগ্ন হই, তখন সময়ের দকে আমাদের মোটেই লক্ষ্য থাকে না ; আবার যখন পুস্তকপাঠে বিরত হই, }খন ভাবিয়া আশ্চৰ্য হই, কতখানি সময় চলিয়া গিয়াছে। সমুদয় সময়টি ধন একত্র হইয়া বর্তমানে একীভূত হইবে। এইজন্যই বলা হইয়াছে, খন অতীত ও বর্তমান আসিয়া একত্র মিলিত হয়, তখনই মন একাগ্র शैग्न थांzक । এতেন ভূতেন্দ্রিয়েষ্ণু ধর্মলক্ষণাবস্থা পরিণাম ব্যাখ্যাতাঃ ॥১৩ ॥ —ইহা দ্বারাই ভূত ও ইন্দ্রিয়ের যে ধর্ম, লক্ষণ ও অবস্থারূপ পরিণাম আছে, তাহার ব্যাখ্যা করা হইল।