পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৪১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՎԵ e স্বামীজীর বাণী ও রচনা সংস্কারসাক্ষাৎকরণাৎ পূবজাভিজ্ঞানম্ ॥ ১৮ ॥ —সংস্কারগুলি ধরিতে পারিলে অর্থাৎ সাক্ষাৎভাবে জানিতে পারিলে পূর্বজন্মের জ্ঞান হয়। আমরা যাহা কিছু অমুভব করি, সবই আমাদের চিত্তে তরঙ্গাকারে আসিয়া থাকে, উহা আবার চিত্তেই মিলাইয়া যায়, ক্রমশঃ সুক্ষ্মতর হইতে থাকে, একেবারে নষ্ট হইয়া যায় না। উহা সেখানে অতি সূক্ষ্ম আকারে থাকে, যদি আমরা ঐ তরঙ্গটি পুনরায় উখিত করিতে পারি, তাহা হইলে তাহাই স্মৃতি হইল। স্বতরাং যোগী যদি মনের এই-সকল পূর্বসংস্কারের উপর ‘সংযম করিতে পারেন, তবে তিনি তাহার পূর্ব পূর্ব সকল জন্মের কথা স্মরণ করিতে থাকিবেন। প্রত্যয়ন্ত পরচিত্ত-জ্ঞানম্ ॥ ১৯ ॥ —অপরের শরীরে যে-সকল চিহ্ন আছে, সেগুলিতে সংযম করিলে ঐ ব্যক্তির মনের ভাব জানিতে পারা যায়। প্রত্যেক ব্যক্তির শরীরেই কতকগুলি বিশেষ প্রকার চিহ্ন আছে, তন্থাবা তাহাকে অপর ব্যক্তি হইতে পৃথক করা যায়। যখন যোগী কোন ব্যক্তির এই বিশেষ চিহ্নগুলির উপর ‘সংযম করেন, তখন তিনি সেই ব্যক্তির মনের গঠন বা অবস্থা জানিতে পারেন । ন চ তৎ সালম্বনং তস্তাবিষয়ীভূতত্বাৎ ॥ ২০ ॥ —-কিন্তু ঐ চিত্তের অবলম্বন কি, তাহা জানিতে পারেন না, কারণ উহ। তাহার সংযমের বিষয় নয়। শরীরের উপর ‘সংযম’ করিয়া মনের ভিতরে কি হইতেছে, তাহা তিনি জানিতে পরিবেন না। সেজন্য দুইবার সংযম করিবার আবখ্যক হইবে, প্রথম শৰীরের লক্ষণসমূহের উপব ও তারপর মনেরই উপর সংযম প্রয়োগ করিতে হইবে। তাহা হইলে যোগী সেই ব্যক্তির মনে কি আছে, সবই জানিতে পারিবেন। কায়রুপসংযমাত্ত গ্রাহ্যশক্তি-স্তম্ভে চক্ষুঃপ্রকাশাইসম্প্রয়োগেহস্তধর্ণনম্ ॥ ২১ ৷ ১ পাঠান্তব : ... চক্ষুঃপ্রকাশ সংযোগেহন্তৰ্ধনিম্