विकृडि-ब्रोङ्ग \ר לס আকাশই এই শরীরের উপাদান ; আকাশই এক বিশেষরূপে এই শরীর ংস্থাছে। যদি ৰোগী শরীরের উপাদান ঐ আকাশ-ধাতুর উপর সংযম প্রয়োগ করেন, তবে তিনি আকাশের স্থায় লঘুতা প্রাপ্ত হন ও বায়ুর মধ্য দিয়া যেখানে ইচ্ছা যাইতে পারেন। বহিরকল্পিতা বৃত্তিৰ্মহাবিদেহ ততঃ প্রকাশবরণক্ষয়ঃ ॥ ৪৪ ৷৷ দেহের বাহিরে মনের যে "যথার্থ বৃত্তি’ অর্থাৎ মনের ধারণ, তাহার নাম ‘মহাবিদেহ ; তাহার উপর সংযম প্রয়োগ করিলে প্রকাশের যে আবরণ, তাহা ক্ষয় হইয়া যায়। মন অজ্ঞতাবশতঃ বিবেচনা করে, সে এই দেহের ভিতর দিয়া কাজ করিতেছে। যদি মন সর্বব্যাপী হয়, তবে অামি কেবল এক প্রকার স্নায়ুমণ্ডলীর দ্বারা আবদ্ধ থাকিব কেন, অথবা এই অহংকে একটি শরীরেই আবদ্ধ করিয়া রাখিব কেন ? ইহার তো কোন যুক্তি দেখিতে পাওয়া যায় না। যোগী চান, যেখানে ইচ্ছা সেখানে তিনি এই "আমিত্ব’ অনুভব করিবেন। অহংভাব চলিয়া গিয়া যে মানসিক বৃত্তিপ্রবাহ এই দেহে জাগরিত হয়, তাহাকে ‘অকল্পিতা বৃত্তি’ বা ‘মহাবিদেহ’ বলে । যখন তিনি উহার উপর 'সংযম’ করিতে পারেন, তখন প্রকাশের সকল আবরণ চলিয়া যায় এবং সমুদয় অন্ধকার ও অজ্ঞান দূরীভূত হয়, সমস্তই তাহার নিকট জ্ঞানময় —চৈতন্যময় বলিয়া বোধ হয়। স্কুলস্বরূপ-সূক্ষমাম্বয়ার্থৰ্বত্ব-সংঘমাদ্ভূতজয় ॥ ৪৫ ৷ - ভূতগণের স্থল স্বরূপ, সূক্ষ্ম অন্বয় ও অর্থবত্ত্ব—এই কয়েকটির উপর স যম করিলে ভূতজয় হয়।’ যোগী সমুদ্রয় ভূতের উপর সংযম করেন ; প্রথম স্থলভূতের উপর, তারপর উহার সূক্ষ্ম অবস্থার উপর ‘সংযম করেন। এক সম্প্রদায়ের বৌদ্ধগণ এই স"ামটি বিশেষভাবে গ্রহণ করিয়া থাকেন। খানিকট কাদার তাল লইয়া তাহারা উহার উপর ‘সংষম’ প্রয়োগ করেন, এবং ক্রমশঃ উহা যে-সকল .ے۔یعنی سب صحی ১ স্বরূপ—পৃথিবীর কাঠ, জলের তারল্যাদি। অন্বয়—সম্ব, রজঃ ও তমঃ এতেক ভূতে অশ্বত রহিয়াছে, ইহা জানা। অর্থৰত্ত্ব—বিশেষ বিশেষ ভোগপ্রদান-সামর্থ্য ।
