পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৪১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতি-পাদ אל שסא হইতে বিকশিত অহং-প্রত্যয়, উহাদের ত্রিগুণময়ত্ব ও ভোগদাতৃত্ব— এই কয়েকটির উপর সংযম করিলে ইন্দ্ৰিয়-জয় হয়। বাহ বস্তুর অনুভূতির সময়ে ইন্দ্রিয়গণ মন হইতে বাহিরে যাইয়া বিষয়ের দিকে ধাৰমান হয়, তাহা হইতেই উপলব্ধি ও অস্মিতার উৎপত্তি হয়। যখন যোগী উহাদের উপর এবং অপর দুইটির উপরও ক্রমে ক্রমে ‘সংযম’ প্রয়োগ করেন, তখন তিনি ইঞ্জিয় জয় করেন। যে-কোন বস্তু তুমি দেখিতেছ বা অনুভব করিতেছ—যথা একখানি পুস্তক—তাহা লইয়া তাহার উপর সংযম প্রয়োগ কর। তারপর পুস্তকের আকারে যে জ্ঞান রহিয়াছে, তাহার উপর সংযম প্রয়োগ কর। এই অভ্যাসের দ্বারা সমুদয় ইন্দ্রিয় জয় হইয়া থাকে । ভভো মনোজবিত্বং বিকরণভাবঃ প্রধানজয়শ্চ ॥ ৪৯ ॥ —তাহা হইতে দেহে মনের হ্যায় বেগ, ইন্দ্রিয়গণের দেহনিরপেক্ষ শক্তিলাভ ও প্রকৃতিজয় হইয়া থাকে। যেমন ভূতজয় দ্বারা কায়সম্পৎ লাভ হয়, সেইরূপ ইন্দ্রিয়সংযমের দ্বারা পূর্বোক্ত শক্তিসমুদয় লাভ হইয়া থাকে। সত্বপুরুষাস্থ্যতাখ্যাতিমাত্রস্ত সব ভাবাছধিষ্ঠাতৃত্বং সব জ্ঞাতৃত্বঞ্চ ॥ ৫০ ॥ —পুরুষ ও বুদ্ধির পরস্পর পার্থক্য-বিজ্ঞানের উপর চিত্তসংযম করিলে সকল বস্তুর উপর অধিষ্ঠাতৃত্ব ও সর্বজ্ঞাতৃত্ব লাভ হয়। যখন প্রকৃতি জয় করা হইয়া গিয়াছে ও পুরুষ-প্রকৃতির ভেদ উপলব্ধি হইয়াছে, অর্থাৎ জানা গিয়াছে যে, পুরুষ অবিনাশী পবিত্র ও পূর্ণস্বরূপ, তখন সর্বশক্তিমত্ত ও সর্বজ্ঞতা লাভ হয়। তদ্বৈরাগাদপি দোষৰীজক্ষয়ে কৈবল্যম ॥ ৫১ ৷ —এগুলিকেও ত্যাগ করিতে পারিলে দোষের বীজ ক্ষয় হইয়া যায়, ধনই কৈবল্য লাভ হয়। এই অবস্থায় সাধক কৈবল্য লাভ করেন, স্বাধীন ও মুক্ত হইয়া যান। যখন 'ন সর্বশক্তিমত্তা ও সর্বজ্ঞতা—শক্তি-ছুটিও ত্যাগ করেন, তখন সমুদয় ভোগ,