পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৪২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&कवला-°iब \ం) ) ও অকুপযুক্ত লোকদিগকে মারিয়া ফেলিতে চান (তাহারাই যেন মাহুষের ৰোগ্যতা-অযোগ্যতার একমাত্র বিচারক )—এইভাবে তাহারা মহন্তজাতিকে রক্ষা করিবেন । কিন্তু সেই মহান প্রাচীন পরিণামবাদী পতঞ্জলি ঘোষণ। করিয়াছেন ঃ ক্রমবিকাশ বা পরিণামের প্রকৃত রহস্য—প্রত্যেক ব্যক্তিতে যে পূর্ণতা অন্তর্নিহিত রহিয়াছে তাহারই বিকাশ মাত্র ; ঐ পূর্ণতা বাধাপ্রাপ্ত হইয়াছে, এবং বাধার ওপারে আমন্ত তরঙ্গস্রোত নিজেকে প্রকাশ করিবার জন্য চেষ্টা করিতেছে। এই সংগ্রাম ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমাদের অজ্ঞানের ফলমাত্র। এই দ্বার কি করিয়া খুলিয়া দিতে হয় ও জলকে কি করিয়া ভিতরে আনিতে হয়, তাহ জানি না বলিয়াই এইরূপ হইয়া থাকে। বাধের বাহিরে যে অনভ তরঙ্গ-স্রোত রহিয়াছে, তাহা নিজেকে প্রকাশ করিবেই করিবে ; ইহাই সমুদয় অভিব্যক্তির কারণ ; কেবল জীবনধারণের অথবা ইন্দ্রিয়-ভোগের জন্য প্রতিযোগিতা অজ্ঞানজাত ক্ষণিক অনাবশ্যক বাহ ব্যাপার মাত্র। সকল প্রতিযোগিতা বন্ধ হইয়া গেলেও যতদিন পর্যন্ত না প্রত্যেক ব্যক্তি পূর্ণ হইতেছে, ততদিন আমাদের এই অন্তর্নিহিত পূর্ণস্বভাব আমাদিগকে ক্রমশঃ অগ্রসর করাইয় উন্নতির দিকে লইয়া যাইবে । অতএব প্রতিযোগিতা ষে উন্নতির জন্ত আবখক, ইহা বিশ্বাস করিবার কোন যুক্তি নাই। পশুর ভিতর মানুষ চাপ রহিয়াছে। যেমন দ্বার উন্মুক্ত হয় অর্থাৎ প্রতিবন্ধক অপসারিত হয়, অমনি সবেগে ‘মানুষ’ বহির্গত হয় ; এইরূপে মামুষের ভিতরও দেবতা অন্তর্নিহিত রহিয়াছেন, কেবল অজ্ঞানের অর্গলে ও শৃঙ্খলে তিনি বন্দী হইয়া আছেন। যখন জ্ঞান এই অর্গলগুলি ভাঙিয়া ফেলে, তখনই সেই দেবতা প্রকাশিত হন। e নির্মাণ-চিত্তাস্থ্যস্মিতা-মাত্রাৎ ৷৷ ৪ ৷৷ —যোগী কেবল নিজের অহংভাব হইতেই অনেক চিত্ত স্বজন করিতে পারেন । কর্মবাদের তাৎপর্য এই ষে, আমরা আমাদিগের সদসৎ কর্মের ফলভোগ করিয়া থাকি, আর সমগ্র দর্শনশাস্ত্রের একমাত্র উদ্বেগু—মানুষের নিজ মহিম অবগত হওয়া। সকল শাস্ত্রই মানবের আত্মার মহিমা ঘোষণা করিতেছে ; আবার সঙ্গে সঙ্গে কর্মবাদ প্রচার করিতেছে : শুভ কর্মের