६कखला-ञांश 8e A গুরুর কথ। বর্ণনা করিয়াছে, তাহার। সকলেই এই ধর্মমেঘ-সমাধি লাভ করিয়াছিলেন । তাহার। নিজেদের ভিতরেই জ্ঞানের বিশাল ভিত্তি খুজিয়। পাইয়াছিলেন । সত্য র্তাহীদের নিকট বাস্তবরূপে প্রকাশিত হইয়াছিল । পূর্বোক্ত শক্তিসমূহের অভিমান ত্যাগ করতে শাস্তি, বিনয় ও পূর্ণ পবিত্রত র্তাহাদের স্বভাবগত হইয়া গিয়াছিল। ততঃ ক্লেশকম নিবৃত্তিঃ ॥২৯ ৷৷ —তাহা হইতে ক্লেশ ও কর্মের নিবৃত্তি হয় । যখন এই ধর্মমেঘ-সমাধি হয়, তখন আর পতনের আশঙ্কা নাই, কিছুতেই আর র্তাহাকে নিম্নদিকে টানিয়া লইয়া যাইতে পারে না, আর তাহার কোম দুঃখকষ্ট থাকে না । ভদ। সবৰ্ণবরণমলাপেভস্ত জ্ঞানস্তানন্ত্যাজ জ্ঞেয়ময়ম্।। ৩০ ৷৷ —তখন জ্ঞান সর্বপ্রকার আবরণ ও অশুদ্ধিশূন্ত হওয়ায় অনন্ত হইয়া যায়, সুতরাং জ্ঞেয়ও অল্প হইয়া পড়ে। জ্ঞান তো ভিতরেই রহিয়াছে, উহার আবরণ সরিয়া গিয়াছে। কোন বৌদ্ধশাস্ত্র 'বুদ্ধ' ( ইহা একটি অবস্থার স্বচক ) শব্দের লক্ষণ করিয়াছেন— অনন্ত আকাশের স্থায় অনন্ত জ্ঞান। যীশু ঐ অবস্থা লাভ করিয়া ‘গ্ৰীষ্ট’ হইয়াছিলেন । তোমরা সকলেই ঐ অবস্থা লাভ করিবে । তখন জ্ঞান অনস্ত হইয়। যাইবে, সুতরাং জ্ঞেয় অল্প হইয়া যাইবে। সর্বপ্রকার জ্ঞেয়বস্তু-সমন্বিত সমগ্র জগৎ পুরুষের নিকট যেন শূন্তে পরিণত হয় সাধারণ মানুষ নিজেকে অতি ক্ষুদ্ৰ মনে করে, কারণ তাহার নিকট জ্ঞেয় বস্তু অনন্ত বলিয়। বোধ হয়। ততঃ কৃভার্থানাং পরিণামক্রমসমাপ্তিগুণনাম্ ॥ ৩১ ৷৷ —যখন গুণগুলির কার্য শেষ হইয়া যায়, তখন গুণগুলির পর পর যে ভিন্ন ভিন্ন পরিণাম তাহাও শেষ হইয়া যায়। তখন গুণগুলির এই-সব বিবিধ পরিণাম,—এক জাতি হইতে অপর জাতিতে পরিণতি—সৰ একেবারে শেষ হইয়া যায়। ক্ষণপ্রতিযোগী পরিণামাপরান্তনিগ্রাহঃ ক্রমঃ ॥ ৩২। —যে পরিণাম ক্ষণ অর্থাৎ মুহূর্তসম্বন্ধ লইয় অবস্থিত ও যাহাকে
