পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য নারী । চিকাগো ধর্মমহাসভার অধিবেশন-কালে মহাসভার ‘মহিলা পরিচালক বোর্ড-এর অধ্যক্ষ মিসেস পটার পামার কতৃক আয়োজিত এক বিশেষ সভায় চিকাগোর জ্যাক্সন স্ট্রীটে মহিলা-সদনে স্বামীজী કરે Tặrsi crą I “Chicago Daily Inter-Ocean' Rt7olt: Recot crizibwa ( ovas ) নিম্নলিখিত সংক্ষিপ্ত বিবরণী প্রকাশিত হয় : স্বামী বিবেকানন্দ একটি বিশেষ সভায় প্রাচ্যদেশের নারীদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে আলোচনা করেন : কোন জাতির প্রগতির শ্রেষ্ঠ মাপকাঠি নারীদের প্রতি তাহার মনোভাব। প্রাচীন গ্রীসে স্ত্রী-পুরুষের মর্যাদায় কোন পার্থক্য ছিল না ; পূর্ণ সমতার ভাব বিরাজিত ছিল। কোন হিন্দুও বিবাহিত না হইলে পুরোহিত হইতে পারে না ; ভাবটা এই যে, অবিবাহিত ব্যক্তি অর্ধাঙ্গ ও অসম্পূর্ণ। পূর্ণ স্বাতন্ত্র্যই পূর্ণ নারীত্ব। আধুনিক হিন্দুনারীর জীবনের প্রধান ভাব তাহার সতীত্ব। পত্নী যেন বৃত্তের কেন্দ্ৰ—ঐ কেন্দ্রের স্থিরত্ব নির্ভর করে—তাহার সতীত্বের উপর। এই আদশের চরম অবস্থায় হিন্দু বিধবার সহমরণে দগ্ধ হইতেন। সম্ভবতঃ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নারীদের অপেক্ষা হিন্দুনারীগণ বেশী ধর্মশীলা ও আধ্যাত্মিকভাবসম্পন্ন। যদি আমরা চরিত্রের ঐ-সকল সদগুণ রক্ষা করিতে পারি এবং সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নারীদের বুদ্ধিবৃত্তির পুষ্টিসাধন করিতে পারি, তাহা হইলে ভবিষ্যৎ হিলুনারী জগতের আদর্শস্থানীয়া হইবেন ।