পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিজ নিজ কৰ্মক্ষেত্রে প্রত্যুেকেই বড় ዓ» গুত করিলেন। কিন্তু পাখিটির তাহাতেও তৃপ্তি হইল না। সে তাহার ৰলিল, “প্রিয়ে, আমরা কি করি ? ইহাদিগকে খাইতে দিবার মতো দুই তো আমাদের ঘরে নাই ; কিন্তু ইহার ক্ষুধার্ত, আর আমরা গৃহস্থ, রে যে-কেহ আলিবে, তাহাকেই খাইতে দেওয়া আমাদের কর্তব্য। আমি যতদূর পারি করিব। ইহাদিগকে আমি আমার শরীরটাই দিব।' এই লিয়। সে উড়িয়া গিয়া বেগে সেই অগ্নির মধ্যে পডিল ও মরিয়া গেল। তিথিরা তাহাকে পড়িতে দেখিলেন, এবং তাহাকে বঁাচাইবার যথাসাধ্য ষ্টা করিলেন, কিন্তু সে এত দ্রুত আসিয়া আগুনে পড়িল যে, তাহার। চাইতে পারিলেন না। পক্ষিণী তাহার স্বামীর কার্য দেখিয়া মনে মনে বলিল, ‘এরা তিনজন হিয়াছেন, তাহাজের খাইবার জন্য মাত্র একটি ছোট পাখি ! ইহা যথেষ্ট নয়। কর্তব্য-স্বামীর কোন উদ্যম বিফল হইতে না দেওয়া। অতএব আমার ও ইহাদের জন্য উৎসর্গ করি।” এই বলিয়া সেও আগুনে ঝাপ দিল এবং ডিয়া মরিয়া গেল । শাবক-তিনটি সবই দেখিল, কিন্তু ইহাতেও তিনজনের পর্যাপ্ত খাদ্য হয ই দেখিয়া বলিল, “আমাদের পিতামাতা যতদূর সাধ্য করিলেন, কিন্তু fহাও তো যথেষ্ট হইল না। পিতামাতার কার্য সম্পূর্ণ করিতে চেষ্টা করা সস্তানের কর্তব্য ; অতএব আমাদের শরীরও এই উদ্দেশ্যে সমৰ্পিত হউক’ —এই বলিয়া তাহারাও সকলে মিলিয়া অগ্নিতে বাপ দিল । ঐ তিন ব্যক্তি যাহা দেখিলেন, তাহাতে আশ্চর্য হইয়া গেলেন, কিন্তু পাখিগুলিকে খাইতে পারিলেন না। কোনরূপে র্তাহারা অনাহারে রাত্রিৰাপন করিলেন। প্রভাত হইলে রাজা ও সন্ন্যাসী সেই রাজকন্যাকে পথ দেখাইয়া দিলেন, এবং তিনি র্তাহার পিতার নিকট ফিরিয়া গেলেন। | তখন সন্ন্যাসী রাজাকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, ‘রাজন, দেখিলেন তে: নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রত্যেকেই বড়। যদি সংসারে থাকিতে চান, তবে ঐ পাখিদের মতো প্রতিমুহূর্তে পরাখে নিজেকে উৎসর্গ করিবার জন্য প্রস্তুত হইয়া থাকুন। আর যদি সংসারত্যাগ করিতে চান, তবে ঐ যুবকের মতে।