পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিব্রাজক booት যাই হোক এখন মনস্থনের সময়। যত—ভারত মহাসাগরে—জাহাজ পশ্চিমে চলবে, ততই বাড়বে এই ঝড়ঝাপট । মান্দ্রাজীরা অনেক ফলপাকড় দিয়েছিল ; তার অধিকাংশ, আর গজ দধ্যে িদন প্রভৃতি সমস্তই ছেলেদের দেওয়া গেল । আলাসিঙ্গ তাড়াতাড়ি একখানা টিকিট কিনে শুধু পায়ে জাহাজে চড়ে বসল। আলাসিঙ্গা বলে, সে কখন কখন জুতে পায়ে দেয়। দেশে দেশে রকমারি চাল। ইউরোপে মেয়েদের পা দেখানো বড় লজ্জা ; কিন্তু আধখানা গা আচুড় রাখতে লজ্জা নেই। আমাদের দেশে মাথাটা ঢাকতে হবেই, তা পরনে কাপড় থাক বা না থাক। আলাসিঙ্গ পেরুমল, এডিটার ‘ব্রহ্মবাদিন, মাইসোরী রামানুজী ‘রসম-থেকে ব্রাহ্মণ, কামানো মাথায় সমস্ত কপাল জুড়ে তেংকলে তিলক, ‘সঙ্গের সম্বল গোপনে অতি যতনে এনেছেন কি দুটো পুটলি ! একটায় চিড়ে ভাজা, আর একটায় মুড়ি-মটর। জাত বাচিয়ে, ঐ মুড়ি-মটর চিবিয়ে, সিলোনে যেতে হবে ? অালাসিঙ্গ অপর একবার সিলোমে গিয়েছিল । তাতে বেরাদগরিলোক একটু গোল করবার চেষ্টা করে ; কিন্তু পেরে ওঠেনি। ভারতবর্ষে ঐটুকুই বাচোয়। বেরাদারি যদি কিছু না বলল তো আর কারও কিছু বলবার অধিকার নেই। আর সে দক্ষিণী বেরাদারি—কোনটায় আছেন সবশুদ্ধ পাচ-শ, কোনটায় সাত-শ, কোনটায় হাজারটি প্রাণী-কনের অভাবে ভাগনিকে বে করে । যখন মাইসোরে প্রথম রেল হয়, যে যে ব্রাহ্মণ দূর থেকে রেলগাড়ি দেখতে গিছল, তারা জাতচু্যত হয়! যাই হোক, এই আলাসিঙ্গার মতো মানুষ পৃথিবীতে অতি অল্প , অমন নিঃস্বার্থ, অমন প্রাণপণ খাটনি, অমন গুরু-ভক্ত আজ্ঞাধীন শিস্য জগতে অল্প হে ভায়া! মাথ! কামানে, কুট-বাধা, শুধু পায়, ধুতি-পরা মান্দ্ৰাজী ফাস্ট ক্লাসে উঠল; বেড়াচ্চে-চেড়াচ্চে, খিদে পেলে মুড়ি-মটর চিবুচ্চে! চাকররা মান্দ্রাজীমাত্রকেই ঠাওরায় ‘চেটি’, আর [ বলে ] ওদের অনেক টাকা আছে, কিন্তু কাপড়ও পরবে না, আর খাবেও না!" তবে আমাদের সঙ্গে পড়ে ওর জাতের দফা ঘোলা হচ্চে—চাকররা বলছে। বাস্তবিক কথা,—তোমাদের পাল্লায় পড়ে মাম্রাজীদের জাতের দফা অনেকটা ঘোলা কেন, থকৃথকিয়ে এসেছে ! সিংহল ও বৌদ্ধধর্ম আলাসিঙ্গার সীসিকনেস হ’ল না। তু-ভায় প্রথমে একটু আধটু গোল ক’রে সামলে বসে আছেন। চার দিন—কাজেই নানা বার্তালাপে ‘ইষ্ট