পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ァ " স্বামীজীর বাণী ও রচনা গোষ্ঠীতে কাটলো। সামনে কলম্বো। এই সিংহল, লঙ্কা। শ্রীরামচন্দ্র সেতু বেঁধে পার হয়ে লঙ্কার রাবণ-রাজাকে জয় করেছিলেন। সেতু তো দেখেছি— সেতুপতি মহারাজার বাড়ীতে, যে পাথরখানির উপর ভগবান রামচন্দ্র তার পূর্বপুরুষকে প্রথম সেতুপতি-রাজা করেন, তাও দেখেছি। কিন্তু এ পাপ বৌদ্ধ সিলোনি লোকগুলো তে মানতে চায় না! বলে – আমাদের দেশে ও কিংবদস্তী পর্যন্ত নাই। আর নাই বললে কি হবে ?—‘গোসাইজী পুথিতে লিখছেন যে ’ তার ওপর ওরা নিজের দেশকে বলে—সিংহল। লঙ্কা বলবে না, বলবে কোথেকে ? ওদের না কথায় ঝাল, না কাজে ঝাল, না প্রকৃতিতে ঝাল ! রাম বলো—ঘাগরা-পরা, খোপা-বাধা, আবার খোপায় মস্ত একখান চিরুনি দেওয়া মেয়েমানষি চেহারা ! আবার - রোগ-রোগ, বেঁটে-বেটে, নরম-নরম শরীর এর রাবণ কুম্ভকর্ণের বাচ্চা ? গেছি আর কি ! বলে—বাঙলা দেশ থেকে এসেছিল—তা ভালই করেছিল। ঐ যে একদল দেশে উঠছে, মেয়েমানষের মতো বেশভূষা, নরম-নরম বুলি কাটেন, একে-বেঁকে চলেন, কারুর চোখের উপর চোখ রেখে কথা কইতে পারেন না, আৰু ভূমিষ্টি হয়ে অবধি পিরীতের কবিতা লেখেন, আর বিরহের জালায় ‘হাসেন হোসেন করেন— ওরা কেন যাক না বাপু সিলোনে। পোড়া গবর্নমেণ্ট কি ঘুমুচ্চে গ৷ ? সেদিন পুরীতে কাদের ধরপাকড়া করতে গিয়ে হুলস্থূল বাধালে ; বলি রাজধানীতে পাকড়া ক’রে প্যাক করবারও যে অনেক রয়েছে। একটা ছিল মহা দুষ্ট বাঙালী রাজার ছেলে—বিজয়সিংহ বলে । সেটা বাপের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ ক’রে, নিজের মতো আরও কতকগুলো সঙ্গী জুটিয়ে জাহাজে ক'রে ভেসে ভেসে লঙ্কা নামক টাপুতে হাজির ৷ তখন ওদেশে বুনো জাতের আবাস, যাদের বংশধরেরা এক্ষণে ‘বেদ’ নামে বিখ্যাত। বুনো রাজা বড় খাতির ক’রে রাখলে, মেয়ে বে দিলে। কিছু দিন ভাল মানুষের মতো রইল ; তারপর একদিন মাগের সঙ্গে যুক্তি ক’রে হঠাৎ রাত্রে সদলবলে উঠে, বুনে রাজাকে সরদারগণ সহিত কতল ক’রে ফেললে। তারপর বিজয়সিংহ হলেন রাজা, দুষ্ট.মির এইখানেই বড় অস্ত হলেন না । তারপর আর তার বুনোর-মেয়ে রাণী ভাল লাগলো না । তখন ভারতবর্ষ থেকে আরও লোকজন, আরও অনেক মেয়ে আনালেন। অঙ্গরাধা বলে এক মেয়ে তো নিজে করলেন বিয়ে, আর সে বুনোর মেয়েকে জলাঞ্জলি দিলেন ; সে জাতকে