කු මිං স্বামীজীর বাণী ও রচনা তার কাদায় রথচক্র ডুবে, কর্ণের মতো আটকে জলে ডুবে মারা গেল।’ পাদ্রী আরও বললেন যে, একথা এখন আধুনিক বিজ্ঞান-যুক্তির দ্বারা প্রমাণ হ’তে পারে। এখন সব দেশে ধর্মের আজগুবিগুলি বিজ্ঞানের যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করবার এক ঢেউ উঠেছে। মিঞা ! যদি প্রাকৃতিক নিয়মে ঐ সবগুলি হয়ে থাকে তে আর তোমার য়াভে-দেবতা মাঝখান থেকে অাসেন কেন ? বড়ই মুশকিল ! যদি বিজ্ঞানবিরুদ্ধ হয় তো ও-কেরামতগুলি আজগুবি এবং তোমার ধর্ম মিথ্যা । যদি বিজ্ঞানসম্মত হয়, তা হলেও তোমার দেবতার মহিমাটি বাড়ার ভাগ, ও আর সব প্রাকৃতিক ঘটনার ন্যায় আপনা-আপনি হয়েছে। পাদ্রী বোগেশ বললে, “আমি অত শত জানিনি, আমি বিশ্বাস করি।” এ-কথা মন্দ নয়—এ সহি হয়। তবে ঐ যে একদল আছে—পরের বেলা দোষটি দেখাতে, যুক্তিটি আনতে কেমন তৈয়ার ; নিজের বেলায় বলে, ‘আমি বিশ্বাস করি, অামার মন সাক্ষ্য দেয়’—তাদের কথাগুলো একদম অসহ্য । আ মরি!—ওঁদের আবার মন । ছটাকও নয় আবার মণ ! পরের বেলায় সব কুসংস্কার, বিশেষ করে যেগুলো সাহেবে বলেছে ; আর নিজে একটা কিস্তৃত-কিমাকার কল্পনা ক’রে কেঁদেই অস্থির ! জাহাজ ক্রমেই উত্তরে চলেছে। এই রেড-সীর কিনার—প্রাচীন সভ্যতার এক মহাকেন্দ্র । ঐ—ওপারে আরবের মরুভূমি ; এপারে—মিসর । এই— সেই প্রাচীন মিসর ; এই মিসরিরা পন্টু দেশ ( সম্ভবতঃ মালাবার ) হ’তে, রেড-সী পার হয়ে, কত হাজার বৎসর আগে, ক্রমে ক্রমে রাজ্য বিস্তার ক’রে উত্তরে পৌছেছিল । এদের আশ্চর্য শক্তিবিস্তার, রাজ্যবিস্তার, সভ্যতাবিস্তার । যবনেরা এদের শিষ্য । এদের বাদশীদের পিরামিড নামক আশ্চর্য সমাধিমন্দির, নারীসিংহী মূর্তি । এদের মৃতদেহগুলি পর্যন্ত আজও বিদ্যমান। বাবরি-কাটা চুল, কাছাহীন ধপূধপে ধুতি পর, কানে কুণ্ডল, মিসরি লোক সব, এই দেশে বাস করত। এই—হিক্স বংশ, ফেরো বংশ, ইরানী বাদশাহি, সিকন্দর, টলেমি বংশ এবং রোমক ও আরব বীরদের রঙ্গভূমি—মিসর । সেই ততকাল আগে এরা আপনাদের বৃত্তাস্ত পাপিরস পত্রে, পাথরে, মাটির বাসনের গায়ে । চিত্রাক্ষরে তন্ন তন্ন ক’রে লিখে গেছে । - এই ভূমিতে আইসিসের পূজা, হোরসের প্রাদুর্ভাব। এই প্রাচীন মিসরিদের মতে—মাহুষ ম'লে তার স্বক্ষ শরীর বেড়িয়ে বেড়ায়, কিন্তু মৃত
