পরিব্রাজক ఫిసి এই সকল গল্প শুনে হৃৎকম্প হবার তো যোগাড়। কিন্তু অদৃষ্ট ভাল, আমরা বিশেষ গরম কিছুই পেলুম না। হাওয়া দক্ষিণী না হয়ে উত্তর থেকে আসতে লাগল—সে ভূমধ্যসাগরের ঠাণ্ডা হাওয়া । হয়েজখালে ঃ হাঙ্গর শিকার ১৪ই জুলাই রেড-সী পার হয়ে জাহাজ হয়েজ পৌছল। সামনে— সুয়েজখাল । জাহাজে—সুয়েজে নাবাবার মাল আছে । তার উপরে এসেছেন মিসরে প্লেগ, আর আমরা আনছি প্লেগ সম্ভবত:—কাজেই দোতরফা ছোয়াছুয়ির ভয় । এ ছুংছাতের ন্যাটার কাছে আমাদের দিশি ছুংছাত কোথায় লাগে ! মাল নাববে, কিন্তু স্থয়েজের কুলি জাহাজ ছুতে পারবে না। জাহাজে খালাসী বেচারাদের আপদ আর কি ! তারাই কুলি হয়ে ক্রেনে ক’রে মাল তুলে, আলটপ কা নীচে স্বয়েজী নৌকায় ফেলছে—তারা নিয়ে ডাঙায় যাচ্চে। কোম্পানির এজেন্ট ছোট লঞ্চে ক’রে জাহাজের কাছে এসেছেন, ওঠবার হুকুম নেই। কাপ্তেনের সঙ্গে জাহাজে নৌকায় কথা হচ্চে । এ তো ভারতবর্ষ নয় যে, গোর আদমী প্লেগ আইন-ফাইন সকলের পার— এখানে ইউরোপের আরম্ভ। স্বর্গে ইদুর-বাহন প্লেগ পাছে ওঠে, তাই এত আয়োজন । প্লেগ-বিষ—প্রবেশ থেকে দশ দিনের মধ্যে ফুটে বেরোন ; তাই দশ দিনের আটক । আমাদের কিন্তু দশ দিন হয়ে গেছে—ফাড়া কেটে গেছে। কিন্তু মিসরি আদমীকে ছুলেই আবার দশ দিন আটক—তাহলে আর নেপলসেও লোক নাবানো হবে না, মাঙ্গাইতেও নয় ; কাজেই যা কিছু কাজ হচ্চে, সব আলগ্লোছে ; কাজেই ধীরে ধীরে মাল নাবাতে সারাদিন লাগবে । রাত্রিতে জাহাজ অনায়াসেই খাল পার হতে পারে, যদি সামনে বিজলী-আলো পায় ; কিন্তু সে আলো পরাতে গেলে, স্বয়েজের লোককে জাহাজ ছুতে হবে, বস্—দশ দিন কারণটন ( quarantine ) । কাজেই রাতেও যাওয়া হবে না, চব্বিশ ঘণ্টা এইখানে পড়ে থাকো—সুয়েজ বন্দরে । এটি বড় সুন্দর প্রাকৃতিক বন্দর, প্রায় তিন দিকে বালির টিপি আর পাহাড়—জলও খুব গভীর। জলে অসংখ্য মাছ আর হাঙ্গর ভেসে ভেসে বেড়াচ্চে। এই বন্দরে আর অষ্ট্রেলিয়ার সিডনি বন্দরে যত হাঙ্গর, এমন আর দুনিয়ার কোথাও নাই—বাগে পেলেই মানুষকে খেয়েছে। জলে নাবে
