পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিব্রাজক ov> ভাষা নেই । নইলে “বাঘা নিশ্চিত পেটের খবর তাকে দিয়ে সাবধান ক’রে দিত। নিশ্চিত ব’লত, “দেখ হে সাবধান, ওখানে একটা নূতন জানোয়ার এসেছে, বড় স্বস্বাদ স্বগন্ধ মাংস তার, কিন্তু কি শক্ত হাড় ! এতকাল হাঙ্গর-গিরি করছি, কত রকম জানোয়ার—জ্যাস্ত, মরা, আধমরা–উদরস্থ করেছি, কত রকম হাড়-গোড়, ইট-পাথর, কাঠ-টুকরো পেটে পুরেছি, কিন্তু এ হাড়ের" কাছে আর সব মাখম হে—মাখম ! ! এই দেখ না—আমার দাতের দশা, চোয়ালের দশা কি হয়েছে?—ব’লে একবার সেই আকটিদেশ-বিস্তৃত মুখ ব্যাদান ক’রে আগন্তুক হাঙ্গরকে অবশুই দেখাত। সেও প্রাচীনবয়সসুলভ অভিজ্ঞতা সহকারে—চ্যাঙ-মাছের পিত্তি, কুঁজো-ভেটকির পিলে, ঝিনুকের ঠাণ্ডা স্বরুয়া ইত্যাদি সমুদ্রজ মহৌষধির কোন-না-কোনটা ব্যবহারের উপদেশ দিতই দিত। কিন্তু যখন ওসব কিছুই হ’ল না, তখন হয় হাঙ্গরদের অত্যস্ত ভাষার অভাব, নতুবা ভাষা আছে, কিন্তু জলের মধ্যে কথা কওয়। চলে না ! অতএব যতদিন না কোন প্রকার হাঙ্গুরে অক্ষর আবিষ্কার হচ্চে, ততদিন সে ভাষার ব্যবহার' কেমন ক’রে হয় ?—অথবা 'বাঘা' মানুষ-ঘেঁষা হয়ে মানুষের ধাত পেয়েছে, তাই থ্যাবড়া’কে আসল খবর কিছু না ব’লে, মূচকে হেসে, "ভাল আছ তো হে' বলে সরে গেল –‘আমি একাই ঠকবো ? ‘আগে যান ভগীরথ শঙ্খ বাজাইয়ে, পাছু পাছু যান গঙ্গ1.’—শঙ্খধ্বনি তো শোনা যায় না, কিন্তু আগে আগে চলেছেন ‘পাইলট ফিস, আর পাছু পাছু প্রকাও শরীর নাড়িয়ে আসছেন ‘থার্বুড়া ; তার আশেপাশে নেত্য করছেন "হাঙ্গর-চোষা’ মাছ । আহা ও লোভ কি ছাড়া যায় ? দশ হাত দরিয়ার উপর ঝিক্ ধিক্‌ ক’রে তেল ভাসছে, আর খোসৰু কত দূর ছুটেছে, তা থ্যাবড়াই বলতে পারে। তার উপর সে কি দৃশু-সাদা, লাল, জরদা— এক জায়গায়! আসল ইংরেজি শুয়োরের মাংস, কালো প্রকাগু বড়শির চারি ধারে বাধা, জলের মধ্যে, রঙ-বেরঙের গোপীমণ্ডলমধ্যস্থ কৃষ্ণের ন্যায় দোল খাচ্চে ! এবার সব—চুপ্‌—নোড়ো চোড়ো না, আর দেখ—তাড়াতাড়ি ক’রে না। মোঙ্গা–কাছির কাছে কাছে থেকে। ঐ, বড়শির কাছে কাছে ঘুরছে ; টোপট মুখে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখছে! দেখুক । চুপ চুপ –এইবার চিৎ,