পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> > ミ স্বামীজীর বাণী ও রচনা বসেছে। এরাই মোগল, কালমুখ (Kalmuck), হুন, চীন, তাতার, তুর্ক, মানচু, কিরগিজ প্রভৃতি বিবিধ শাখায় বিভক্ত হয়ে এক চীন ও তিব্বতি সওয়ায় তাৰু নিয়ে আজ এদেশ, কাল ওদেশ ক’রে ভেড়া ছাগল গরু ঘোড়া চরিয়ে বেড়ায়, আর বাগে পেলেই পঙ্গপালের মতো এসে দুনিয়া ওলট-পালট ক’রে দেয়। এদের আর একটি নাম তুরানি। ইরান তুরান—সেই তুরান । রঙ কালো, কিন্তু সোজা চুল, সোজা নাক, সোজা কালো চোপ—প্রাচীন মিসর, প্রাচীন বাবিলোনিয়ায় বাস করত এবং অধুনা ভারতময়,—বিশেষ দক্ষিণদেশে বাস করে ; ইউরোপেও এক-আধ জায়গায় চিহ্ন পাওয়া যায়,— এ এক জাতি । এদের পারিভাষিক নাম দ্রাবিড়ি । সাদা রঙ, সোজা চোখ, কিন্তু কান নাক—রামছাগলের মুখের মতো বাক৷ আর ডগা মোটা, কপাল গড়ানে, ঠোট পুরু—যেমন উত্তর আরবের লোক, বর্তমান য়াহুদী, প্রাচীন বাবিলি, আসিরি, ফিনিক প্রভৃতি ; এদের ভাষাও এক প্রকারের ; এদের নাম সেমিটক। আর যারা সংস্কৃতের সদৃশ ভাষা কয়, সোজা নাক মুখ চোখ, রঙ সাদা, চুল কালো বা কটা, চোখ কালো বা নীল, এদের নাম আরিয়ান । # বর্তমান সমস্ত জাতিই এই সকল জাতির সংমিশ্রণে উৎপন্ন। ওদের মধ্যে যে জাতির ভাগ অধিক যে দেশে, সে দেশের ভাষা ও আকৃতি অধিকাংশই সেই জাতির ন্যায় । উষ্ণদেশ হলেই যে রঙ কালো হয় এবং শীতল দেশ হলেই যে বর্ণ সাদা হয়, একথা এখনকার অনেকেই মানেন না । কালো এবং সাদার মধ্যে যে বর্ণগুলি, সেগুলি অনেকের মতে, জাতি-মিশ্রণে উৎপন্ন হয়েছে । মিসর ও প্রাচীন বাবিলের সভ্যতা পণ্ডিতদের মতে সর্বাপেক্ষ প্রাচীন । এ সকল দেশে খ্ৰী: পূ: ৬০০০ বৎসর বা ততোধিক সময়ের বাড়ী-ঘর-দোর পাওয়া যায়। ভারতবর্ষে জোর চন্দ্রগুপ্তের সময়ের যদি কিছু পাওয়া গিয়ে । থাকে—খ্ৰী: পূ: ৩০০ বৎসর মাত্র। তার পূর্বের বাড়ী-ঘর এখনও পাওয়া যায় নাই। তবে তার বহু পূর্বের পুস্তকাদি অাছে, যা অন্য কোনও দেশে ১ সওয়ায়—( আরবী শব্দ ) ব্যতীত, ছাড়া ২ হরপ্পা এবং মহেঞ্জোডারে গ্রামে ভূগর্তে খ্ৰী: পূ: ৩৩৭ বৎসর পূর্বেকার সভ্যতার নিদৰ্শনসকল পাওয়া গিয়াছে প্রত্নতাত্বিকগণ ইহাকে সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতা বলিয়াছেন।