পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○"br স্বামীজীর বাণী ও রচনা আবার ঐ যে পাউরুটি, উনিও হচ্ছেন বিষ, ওঁকে ছুয়ো না একদম । খাম্বীর মিশলেই ময়দা এক থেকে আর হয়ে দাড়ান। কোনও খাম্বীরদার জিনিস খাবে না, এ বিষয়ে আমাদের শাস্ত্রে যে সর্বপ্রকার খাম্বীরদার জিনিসের নিষেধ আছে, এ বড় সত্য। শাস্ত্রে যে-কোন জিনিস মিষ্টি থেকে টকেছে, তার নাম ‘শুক্ত ; তা খেতে নিষেধ—কেবল দই ছাড়া । দই অতি উপাদেয় —উত্তম জিনিস। যদি একান্ত পাউরুটি খেতে হয় তো তাকে “পুনর্বার খুব অণগুনে সেঁকে খেও । অশুদ্ধ জল আর অশুদ্ধ ভোজন রোগের কারণ । আমেরিকায় এখন জলশুদ্ধির বড়ই ধুম। এখন ঐ যে ফিলটার, ওর দিন গেছে চুকে অর্থাৎ ফিলটার জলকে ছেকে দেয় মাত্র, কিন্তু রোগের বীজ যে সকল কীটাপু তাতে থাকে, ওলাউঠা প্লেগের বীজ তা যেমন তেমনি থাকে ; অধিকন্তু ফিলটারটি স্বয়ং ঐ সকল বীজের জন্মভূমি হয়ে দাড়ান। কলকেতায় যখন প্রথম ফিলটারকরা জল হ’ল, তখন পাচ বৎসর নাকি ওলাউঠা হয় নাই ; তারপর যে কে সেই, অর্থাৎ সে ফিলটার মশাই এখন স্বয়ং ওলাউঠা বীজের আবাস হয়ে দাড়াচ্ছেন। ফিলটারের মধ্যে দিশি তেকাঠার ওপর ঐ যে তিন-কলসীর ফিলটার উনিই উত্তম, তবে দু-তিন দিন অন্তর বালি বা কয়লা বদলে দিতে হবে বা পুড়িয়ে নিতে হবে। আর ঐ যে একটু ফটকিরি দেওয়া—গঙ্গাতীরস্থ গ্রামের অভ্যাস, ঐটি সকলের চেয়ে ভাল। ফটকিরির গুড়ো যথাসম্ভব মাটি ময়লা ও রোগের বীজ সঙ্গে নিয়ে আস্তে আস্তে তলিয়ে যান। গঙ্গাজল জালায় পুরে একটু ফটকিরির গুড়ে দিয়ে থিতিয়ে যে আমরা ব্যবহার করি, ও তোমার বিলিতি ফিলটার-মিলটারের চোদপুরুষের মাথায় ঝাটা মারে, কলের জলের দুশো বাপাস্ত করে। তবে জল ফুটিয়ে নিতে পারলে নির্ভয় হয় বটে। ফটকিরি-থিতোন জল ফুটিয়ে ঠাণ্ড! ক’রে ব্যবহার কর, ফিলটারমিলটার খানায় ফেলে দাও । এখন আমেরিকায় বড় বড় যন্ত্রযোগে জলকে একদম বাষ্প ক’রে দেয়, আবার সেই বাষ্পকে জল করে ; তারপর আর একটা যন্ত্র দ্বারা বিশুদ্ধ বায়ু তার মধ্যে পুরে দেয়, যে বায়ুটা বাষ্প হবার সময় বেরিয়ে যায় [ তার পরিবর্তে ] । সে জল অতি বিশুদ্ধ ; ঘরে ঘরে এখন দেখছি তাই । যার দু’পয়সা আছে আমাদের দেশে, সে ছেলেপিলেগুলোকে নিত্য কচুরি মণ্ডা মেঠাই খাওয়াবে! ভাত রুটি খাওয়া অপমান! এতে