পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য >br総 সাক্ষাৎ বরপুত্র না হ’লে কি আর সেকালে একটা ছেলে বাচত ! সে তাপসেঁক, দাগাফোড়া প্রভৃতির মধ্য দিয়ে বেঁচে ওঠা, প্রস্থতি ও প্রস্বত—উভয়েরই পক্ষে দুঃসাধ্য ব্যাপার ছিল। হরিপ্লুঠের তুলসীতলার খোকা ও মা—দুই প্রায় বেঁচে যেত, সাক্ষাৎ ষমরাজের দূত চিকিৎসকের হাত এড়াত ব'লে। বেশভূষা সকল দেশেই কাপড়ে চোপড়ে কিছু না কিছু ভদ্রতা লেগে থাকে। ‘ব্যাতন না জানলে বোদ্র অবোত্র বুঝবো ক্যামনে ? শুধু ব্যাতনে নয়, 'কাপড় না দেখলে ভদ্র অভদ্র বুঝবো ক্যামনে সর্বদেশে কিছু না কিছু চলন। আমাদের দেশে শুধু গায়ে ভদ্রলোক রাস্তায় বেরুতে পারে না, ভারতের অন্যান্য প্রদেশে আবার পাগড়ি মাথায় না দিয়ে কেউই রাস্তায় বেরোয় না । পাশ্চাত্য দেশে ফরাসীরা বরাবর সকল বিষয়ে অগ্রণী—তাদের খাওয়া, তাদের পোশাক সকলে নকল করে। এখনও ইউরোপের ভিন্ন ভিন্ন দেশে বিশেষ বিশেষ পোশাক বিদ্যমান ; কিন্তু ভদ্র হলেই, দুপয়সা হলেই অমনি সে পোশাক অস্তধান হন, আর ফরাসী পোশাকের আবির্ভাব। কাবুলী পাজামা-পরা ওলন্দাজি চাষ, স্বাগরা-পরা গ্রীক, তিববতী-পোশাক-পরা রুশ যেমন ‘বোদ্র’ হয়, অমনি ফরাসী কোট-প্যান্টালুনে আবৃত হয়। মেয়েদের তো কথাই নেই, তাদের পয়সা হয়েছে কি, পারি রাজধানীর পোশাক পরতে হবেই হবে । আমেরিকা, ইংলণ্ড, ফ্রান্স ও জার্মানি এখন ধনী জাত ; ও-সব দেশে সকলেরই একরকম পোশাক—সেই ফরাসী নকল। তবে আজকাল পারি অপেক্ষা লগুনে পুরুষদের পোশাক ভব্যতর, তাই পুরুষদের পোশাক 'লণ্ডন মেড আর মেয়েদের পারিসিয়েন নকল। যাদের বেশী পয়সা, তারা ঐ দুই স্থান হ’তে তৈয়ারী পোশাক বারমাস ব্যবহার করে । আমেরিকা বিদেশী আমদানী পোশাকের উপর ভয়ানক মাস্থল বসায়, সে মাস্থল দিয়েও পারি-লগুনের পোশাক পরতে হবে । এ কাজ একা আমেরিকানরা পারে—আমেরিকা এখন কুবেরের প্রধান আডিডা ! প্রাচীন আর্যজাতির ধুতি চাদর প’রত ; ক্ষত্রিয়দের ইজার ও লম্বা জামা— লড়ায়ের সময়। অন্তু সময় সকলেরই ধুতি চাদর। কিন্তু পাগড়িটা ছিল। অতি প্রাচীনকালে ভারতবর্ষে মেয়ে-মন্ধে পাগড়ি প’রত। এখন যেমন বাঙলা