পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য >brs গরম । আর জার্মানরা বডড ‘বিয়র’ পান করে---কিন্তু সে খাবার সঙ্গে নয় বড় । ঠাগু দেশে সর্দি লাগবার সদাই সম্ভাবনা ; গরম দেশে খেতে বসে ঢক ঢক জল। এর কাজেই না হেঁচে যায় কোথা, আর আমরা টেকুর না তুলেই বা যাই কোথা ? এখন দেখ নিয়ম-এ দেশে খেতে বসে যদি টেকুর তুলেছ, তো সে বেয়াদবির আর পার নেই। কিন্তু রুমাল বার ক’রে তাতে ভড় ভড় ক’রে সিকনি ঝাড়ো, এদের তায় ঘেন্না হয় না। আমাদের টেকুর না তুললে নিমন্ত্রক খুশীই হন না ; কিন্তু পাচ জনের সঙ্গে খেতে খেতে ভড় ভড় ক’রে সিকনি ঝাড়াটা কেমন ? ইংলণ্ডে, আমেরিকায় মলমূত্রের নামটি আনবার জো নেই মেয়েদের সামনে। পায়খানায় যেতে হবে চুরি করে। পেট গরম হয়েছে, বা পেটের কোন প্রকার অমৃখের কথা মেয়েদের সামনে বলবার জো নেই, অবশু বুড়ী-টুড়ি আলাপী আলাদা কথা । মেয়েরা মলমূত্র চেপে মরে যাবে, তবুও পুরুষের সামনে ও নামটিও আনবে না । 纖 ফরাসী দেশে অত নয়। মেয়েদের মলমূত্রের স্থানের পাশেই পুরুষদের ; এরা এ-দোর দিয়ে যাচ্ছে, ওরা ও-দোর দিয়ে যাচ্ছে ; অনেক স্থানে এক দোর, ঘর আলাদা। রাস্তার দু ধারে মাঝে মাঝে প্রস্রাবের স্থান, তা খালি পিঠটা ঢাকা পড়ে মাত্র, মেয়েরা দেখছে, তায় লজ্জা নাই,— আমাদের মতো। অবশু মেয়ের অমন অনাবৃত স্থানে যায় না। জার্মানদের আরও কম । ইংরেজ ও আমেরিকানরা কথাবার্তায়ও বড় সাবধান, মেয়েদের সামনে । সে ঠ্যাঙ বলবার পর্যস্ত জো নেই। ফরাসীরা আমাদের মতো মুখখোলা ; জার্মান রুশ প্রভৃতি সকলের সামনে খিস্তি করে। কিন্তু প্রেম-প্রণয়ের কথা অবাধে মায় ছেলে, ভায়ে বোনে বাপে—তা চলেছে। বাপ মেয়ের প্রণয়ীর (ভবিষ্যৎ বরের ) কথা নানা রকম টুটা ক’রে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করছে। ফরাসীর মেয়ে তায় অবনতমুখী, ইংরেজের মেয়ে ব্রীড়াশীল, আর মার্কিনের মেয়ে চোটপাট জবাব দিচ্ছে। চুম্বন, আলিঙ্গনট। পর্যন্ত দোষাবহ নয়, অশ্লীল নয়। সে সব কথা কওয়া চলে। আমেরিকায় পরিবারের পুরুষবন্ধুও আত্মীয়ত হ’লে বাড়ীর যুবতী মেয়েদেরও শেকহাণ্ডের