প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ఫెt কেন ? ইচ্ছা সর্বদেশে, উদ্যোগের ক্রটি কোথাও কম দেখি না ; তবে এরা স্বসিদ্ধ হয়েছে, ভোগ করতে জানে, বিলাসের সপ্তমে পৌছেছে। তাও অধিকাংশ কদর্য নাচ-তামাসা বিদেশীর জন্য। ফরাসী বড় সাবধান, বাজে খরচ করে না । এই ঘোর বিলাস, এই সব হোটেল কাফে, যাতে একবার খেলে সর্বস্বাস্ত হ’তে হয়, এ-সব বিদেশী আহাম্মক ধনীদের জন্য । ফরাসীরা বড় স্বসভ্য, আদব-কায়দা বেজায়, খাতির খুব করে, পয়সাগুলি সব বার ক’রে নেয়, আর মুচকে মুচকে হাসে । তা ছাড়া, আর এক তামাসা এই যে, আমেরিকান জার্মান ইংরেজ প্রভৃতির খোলা সমাজ, বিদেশী বা ক’রে সব দেখতে শুনতে পায়। দু-চার দিনের আলাপেই আমেরিকান বাড়ীতে দশ দিন বাস করবার নিমন্ত্রণ করে ; জার্মান তদ্রুপ ; ইংরেজ একটু বিলম্বে। ফরাসী এ বিষয়ে বড় তফাত, পরিবারের মধ্যে অত্যন্ত পরিচিত না হ’লে আর বাস করতে নিমন্ত্রণ করে না । কিন্তু যখন বিদেশী ঐ প্রকার স্থবিধা পায়ু, ফরাসী পরিবার দেখবার জানবার অবকাশ পায়, তখন আর এক ধারণা হয় । বলি, মেছবাজার দেখে অনেক বিদেশী যে আমাদের জাতীয় চরিত্র সম্বন্ধে মতামত প্রকাশ করে—সেটা কেমন আহাম্মকি ? তেমনি এ পারি। অবিবাহিত মেয়ে এদেশে আমাদের দেশের মতো স্বরক্ষিতা, তারা সমাজে প্রায় মিশতে পায় না । বে’র পর তবে নিজের স্বামীর সঙ্গে সমাজে মেশে ; বে থা মায়ে বাপে দেয়, আমাদের মতো । আর এরা আমোদপ্রিয়, কোন বড় সামাজিক ব্যাপার নর্তকীর নাচ না হ’লে সম্পূর্ণ হয় না । যেমন আমাদের বে পূজো—সর্বত্র নর্তকীর আগমন । ইংরেজ ওলবাট-মুখ, অন্ধকার দেশে বাস করে, সদা নিরানন্দ, ওদের মতে এ বড় অশ্লীল, কিন্তু থিয়েটারে হ’লে আর দোষ নেই। এ কথাটাও বলি যে, এদের নাচটা আমাদের চোখে অশ্লীল বটে, তবে এদের সয়ে গেছে। নেংটি নাচ সর্বত্র, ও গ্রাহের মধ্যেই নয় । কিন্তু ইংরেজ আমেরিকান দেখতেও ছাড়বে না, আর ঘরে গিয়ে গাল দিতেও ছাড়বে না। স্ত্রী-সম্বন্ধী আচার পৃথিবীর সর্বদেশেই একরূপ, অর্থাৎ পুরুষ-মানষের অন্ত স্ত্রীসংসর্গে বড় দোষ হয় না, কিন্তু স্ত্রীলোকের বেলাটায় মুশকিল। তবে ফরাসী পুরুষ একটু খোলা, অন্ত দেশের ধনী লোকেরা যেমন এ সম্বন্ধে বেপরোয়া, তেমনি। আর ইউরোপী পুরুষসাধারণ ও-বিষয়টা অত দোষের ভাবে না।
