পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* obr স্বামীজীর বাণী ও রচনা বুনো মানুষ আর সভ্য মানুষের লড়ায়ে যা হয়, তাই হ’ল—জিরুসালম প্রভৃতি অধিকার করা হ’ল না। কিন্তু ইউরোপ সভ্য হতে লাগুলো । সে চামড়া-পরা, আম-মাংসখেকো বুনো ইংরেজ, ফরাসী, জার্মান প্রভৃতি আশিয়ার সভ্যতা শিখতে লাগলো। ইতালি প্রভৃতি স্থানের নাগা ফৌজ দার্শনিক মত শিখতে লাগল ; একদল ক্রিণ্টান নাগা (Knights-Templars) ঘোর অদ্বৈতবেদাস্তী হয়ে উঠল ; শেষে তারা ক্রিশচানীকে ঠাট্টা করতে লাগলো, এবং তাদের ধনও অনেক সংগৃহীত হয়েছিল ; তখন পোপের হুকুমে, ধর্মরক্ষার ভানে ইউরোপী রাজারা তাদের নিপাত ক’রে ধন লুটে নিলে । উভয় সভ্যতার তুলনা এদিকে মুর নামক মুসলমান জাতি স্পান (Spain ) দেশে অতি স্বসভ্য রাজ্য স্থাপন করলে, নানাবিদ্যার চর্চা করলে, ইউরোপে প্রথম ইউনিভার্সিটি হ’ল ; ইতালি, ফ্রাস, স্থদুর ইংলণ্ড হতে বিদ্যার্থী বিদ্যা শিখতে এল ; রাজারাজড়ার ছেলেরা যুদ্ধবিদ্যা আচার কায়দা সভ্যতা শিখতে এল । বাড়ী ঘর দোর মন্দির সব নূতন ঢঙে বনতে লাগলো। কিন্তু সমগ্র ইউরোপ হয়ে দাড়ালো এক মহা সেনা-নিবাস— সে ভগব এখনও । মুসলমানেরা একটা দেশ জয় করে, রাজা—আপনার এক বড় টুকরা রেথে বাকি সেনাপতিদের বেঁটে দিতেন । তারা খাজনা দিত না, কিন্তু রাজার আবশুক হলেই এতগুলি সৈন্য দিতে হবে। এই রকমে সদা-প্রস্তুত ফৌজের অনেক হাঙ্গামা না রেখে, আবশ্বককালে-হাজির প্রবল ফৌজ প্রস্তুত রইল। আজও রাজপুতনায় সে ভাব কতক আছে ; ওটা মুসলমানেরা এদেশে আনে। ইউরোপীরা মুসলমানের এ-ভাব নিলে। কিন্তু মুসলমানদের ছিল রাজা, সামস্তচক্র, ফৌজ ও বাকি প্রজা । ইউরোপে রাজা আর সামন্তচক্র বাকি সব প্রজাকে ক’রে ফেললে এক রকম গোলাম। প্রত্যেক মহিষ কোন সামস্তের অধিকৃত মানুষ হয়ে তবে, জীবিত রইল—হুকুম মাত্রেই প্রস্তুত হয়ে যুদ্ধযাত্রায় হাজির হতে হবে। ১ কঁাচ বা আরাধ মাংসাহারী