পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বর্তমান ভারত **(t বৌদ্ধবিপ্লব ও তাহার ফল বৌদ্ধোপপ্লাবনের সঙ্গে সঙ্গে পুরোহিতের শক্তির ক্ষয় ও রাজন্তবর্গের শক্তির বিকাশ । বৌদ্ধযুগের পুরোহিত সর্বত্যাগী, মঠাশ্ৰয়, উদাসীন। শাপেন চাপেন বা’ রাজকুলকে’ পদানত করিয়া রাথিতে র্তাহীদের উৎসাহ বা ইচ্ছা নাই । থাকিলেও আহুতিভোজী দেবকুলের অবনতির সহিত তাহদের প্রতিষ্ঠাও নিম্নাভিমুখী ; কত শত ব্ৰহ্মা-ইন্দ্রাদি বুদ্ধত্বপ্রাপ্ত নরদেবের চরণে প্রণত এবং এই বুদ্ধত্বে মহুৰ্যমাত্রেরই অধিকার । কাজেই রাজশক্তিরূপ মহাবল যজ্ঞাশ্ব আর পুরোহিত-হস্তধৃত-দৃঢ়সংযতরশ্মি নহে; সে এবার আপন বলে স্বচ্ছন্দচারী। এ যুগের শক্তিকেন্দ্র সামগায়ী যজুর্ষাজী পুরোহিতে নাই, রাজশক্তিও ভারতের বিকীর্ণ ক্ষত্রিয়বংশ-সস্তৃত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মণ্ডলীপতিতে সমাহিত নহে ; এ যুগের দিগদিগন্তব্যাপী অপ্রতিহতশাসন আসমুদ্রক্ষিতীশগণই মানবশক্তিকেন্দ্র। এ যুগের নেতা আর বিশ্বামিত্র বশিষ্ঠ নহেন, কিন্তু সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত, ধর্মাশোক প্রভৃতি। বৌদ্ধযুগের একচ্ছত্র পৃথিবীপতি সম্রাড় গণের ন্যায় ভারতের গৌরববৃদ্ধিকারী রাজগণ আর কখন ভারতসিংহাসনে আরূঢ় হন নাই, এ যুগের শেষে আধুনিক হিন্দুধর্ম ও রাজপুতাদি জাতির অভু্যখান । ইহাদের হস্তে ভারতের রাজদণ্ড পুনর্বার অখণ্ড প্রতাপ হইতে বিচ্যুত হইয়া শতথগু হইয়া যায়। এই সময়ে ব্রাহ্মণ্যশক্তির পুনরভু্যখান রাজশক্তির সহিত সহকারিভাবে উদযুক্ত হইয়াছিল । এ বিপ্লবে-বৈদিক কাল হইতে আরব্ধ হইয়া জৈন ও বৌদ্ধ-বিপ্লবে বিরাটরূপে ফুটাকৃত পুরোহিতশক্তি ও রাজশক্তির যে চিরস্তন বিবাদ, তাহা মিটিয়া গিয়াছে। এখন এ দুই মহাবল পরস্পর সহায়ক, কিন্তু সে মহিমান্বিত ক্ষত্রবীর্ষও নাই, ব্রহ্মবীৰ্যও লুপ্ত। পরস্পরের স্বার্থের সহায়, বিপক্ষ পক্ষের সমূল উৎকাষণ’, বৌদ্ধবংশের সমূলে নিধন ইত্যাদি কার্যে ক্ষয়িতবীর্য এ নৃতম শক্তিসঙ্গম নানাভাবে বিভক্ত হইয়া, প্রায় গতপ্রাণ হইয়া পড়িল ; শোণিত-শোষণ, বৈর-নির্যাতন, ধনহরণাদি ব্যাপারে নিয়ত নিযুক্ত হইয়া, পূর্ব রাজন্তবর্গের ১ মন্ত্র বা অস্ত্র দ্বারা २ छ९मझिम ుణ (t